এশিয়া কাপে সাব্বির-সৌম্যকে বিবেচনায় রেখেছেন নির্বাচকরা

সাম্প্রতিক সময়ে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স হতাশাজনক। জিম্বাবুয়ে সিরিজে অপেক্ষাকৃত নবীনদের দিয়ে চেষ্টা করেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু ৩ ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরে যায় সাকিব-মুশফিকদের ছাড়া দলটি। এর মধ্যে নুরুল হাসান সোহান, লিটন দাস, ইয়াসির আলী রাব্বির ইনজুরিতে এশিয়া কাপের দল গঠন নিয়েই দুশ্চিন্তায় নির্বাচকরা।

৮ আগস্টের মধ্যে স্কোয়াড ঘোষণার জন্য সময় বেঁধে দিয়েছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। বিসিবির আবেদনের প্রেক্ষিতে সংস্থাটি আরও তিনদিন সময় বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ আগামী ১১ আগস্টের মধ্যে বিসিবিকে দল ঘোষণা করতে হবে। এদিকে বেটিং সাইটের সঙ্গে সাকিবের চুক্তির কারণে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে তার নামও ঘোষণা করতে পারছে না বিসিবি। ইতিমধ্যে সাকিবের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সুরাহা করার চেষ্টায় সংস্থাটি।

এদিকে দলের নিয়মিত ক্রিকেটারদের অফফর্ম এবং ইনজুরির কারণে সৌম্য-সাব্বিরদের মতো ক্রিকেটারদের নিয়ে ভাবছে নির্বাচকরা। সৌম্য সরকার জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ কুড়ি ওভারের ম্যাচ খেলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সাব্বির রহমান তো আরও আগে, ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষবার খেলেন।

এই দুই ক্রিকেটারের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জালাল ইউনুস বলেছেন, এই ব্যাপারটা তো সিলেক্টরদের। তাদের মাথায় অনেক চিন্তা-ভাবনাই আছে। যেহেতু এখন চোট সমস্যা আছে, সাপোর্ট প্লেয়ারও লাগবে। সাপোর্ট প্লেয়ারে আপনি যাদের নাম বললেন (সাব্বির-সৌম্য), হয়তো তাদের নামও আছে। এই চিন্তাটা তারা করছে, আমরা একটা ব্যাকআপ রাখতে চাচ্ছি। সিলেক্টরাও চিন্তা-ভাবনা করছে, রেখেছে তাদের নাম। আর অধিনায়কের বিষয়টি দু-একদিনের মধ্যে জেনে যাবেন।

মূলত ইনজুরি কনসার্নের কারণেই এশিয়া কাপের দল দিতে এতটা বিলম্ব হচ্ছে। দলে যেন ইনজুরির কোনও সমস্যা না থাকে সেটি দেখছে বিসিবি, ‘এশিয়া কাপের দল ঘোষণার জন্য সময় নিয়েছি আমরা। ইনজুরি লিস্টটা অনেক লম্বা। সাইফউদ্দিন এখনও ইনজুরিতে, সে কাজ করছে। রাব্বিও ইনজুরড। মোস্তাফিজের ব্যথা আছে। এই কারণে আমরা একটা চূড়ান্ত লিস্ট দিতে চাচ্ছি, যেখানে ইনজুরি কনসার্ন থাকবে না। এরপর বিশ্বকাপ আছে। তাই আমরা চিন্তা করছি যে লিস্টটা দেবো, সেটা যেন আমরা এশিয়া কাপ থেকে কন্টিনিউ করতে পারি।’