নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটেও বর্ণবাদ!

তারকাদের আত্মজীবনীর আরেকটা ভিন্ন মানেও থাকে- বোমা ফাটানো সব তথ্যের ভাণ্ডার! প্রায় সব ক্রিকেটারের বেলাতেই এমনটা দেখা গেছে। সম্প্রতি অবসরে চলে যাওয়া রস টেলরের আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থেও পাওয়া গেলো তেমনই তথ্য। বর্ণবাদের অভিযোগ তুলে তিনি দাবি করেছেন, নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটটা প্রায় সাদাদের খেলা। অথচ ‘ভদ্র’ হিসেবে দেশটির মানুষের আলাদা একটা পরিচিতই এতদিন শোনা গেছে।   

অবসরে চলে যাওয়ার পরপরই আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘রস টেলর ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট’ বের হয়েছে বৃহস্পতিবার। কিছু দিন আগে বই নিয়ে টেলরের ইনস্টাগ্রাম পোস্টও দেখা গেছে। ওই বইতে তিনি লিখেছেন, ‘নিউজিল্যান্ডে ক্রিকেটটা বলতে গেলে সাদাদের।’ আরও লিখেছেন, ‘ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় আমাকে দেখতে ব্যতিক্রমই লেগেছে। বলা যায় ভ্যানিলার (পড়ুন সাদা অর্থে) সারিতে একটা বাদামি মুখ। এটার আলাদা চ্যালেঞ্জও আছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয়তো তা সতীর্থ ও ক্রিকেটীয় জনগণের কাছে সেসব দৃশ্যমান নয়।’

এ সময় নিজের আদিবাসী পরিচয় নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। টেলর মায়ের দিক থেকে পলিনেশিয়ান সামোয়ান জাতিগোষ্ঠীর অন্তর্গত। অথচ ৩৮ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার জানিয়েছেন, সবাই তাকে মাউরি বা ভারতীয় জাতিগোষ্ঠীর মনে করতো।     

লকার রুমেও টিপ্পনির ধরনটা এত বর্ণবাদী ও বেদনাদায়ক থাকতো যে তখন মনে হতো সরব হলে পরিস্থিতি হয়তো আরও অবনতির দিকে যাবে। টেলর বলেছেন, ‘‘অনেক দিক দিয়ে ড্রেসিং রুমের টিপ্পনিটা চাপ সৃষ্টি করতো। এক সতীর্থ প্রায়ই বলতো, ‘রস তুমি অর্ধেক ভালো মানুষ। কিন্তু কোন অর্ধেকটা? তুমি হয়তো জানো না কোনটার কথা বলছি।’ তবে আমি নিশ্চিতভাবেই সেটা বুঝে নিতাম।’’