নতুন এফটিপি: শুরুতে ইংল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে বাংলাদেশ

শেষ পর্যন্ত প্রকাশ পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের চূড়ান্ত ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম বা এফটিপি। ২০২৩ সাল থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত ১৫০টি ম্যাচ খেলবে লাল-সবুজরা। এই সময়ে ৩৪ টেস্টের পাশাপাশি ৫৯টি ওয়ানডে ও ৫৭ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলা হবে।

২০২৩ সালের মার্চে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি ওয়ানডের সঙ্গে সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি দিয়ে নতুন চক্রের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে বাংলাদেশের। এর মধ্য দিয়ে ইংলিশদের বিপক্ষে খেলা হবে কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। তারপর মার্চ মাসে আইরিশদের বিপক্ষে এক টেস্টের বিপরীতে খেলা হবে তিন ওয়ানডে ও তিন টি-টোয়েন্টি। মে মাসে আবার ৩ ওয়ানডে ও ৪ টি-টোয়েন্টির অ্যাওয়ে সিরিজ খেলা হবে আয়ারল্যান্ডে। ২০২৫ সালের নভেম্বরে আবারও একই দলের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে।

২০২৩ সালের জুনেই আবার আফগানিস্তানের সঙ্গে হোম সিরিজে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা হবে। একই দলের সঙ্গে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে খেলা হবে অ্যাওয়ে সিরিজ। সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা হবে। একই বছর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে দেশের মাটিতে হবে সিরিজ। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ২০২৫ সালের জুনে দুটি টেস্ট, তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে শ্রীলঙ্কা যাবে বাংলাদেশ।

২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ভারত সফরে তিনটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে তারা। চলতি বছরের ডিসেম্বরেও ঘরের মাঠে ভারতের মুখোমুখি হবে। দুটি টেস্টের সঙ্গে খেলবে তিন ওয়ানডে।

পাকিস্তানের সঙ্গেও রয়েছে হোম-অ্যাওয়ে সিরিজ। ২০২৪ সালের আগস্টে পাকিস্তানে দুটি টেস্ট খেলবে। পরের বছর ২০২৫ সালের মে মাসে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ। এরপর পাকিস্তানকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ ২০২৬ সালের মার্চে। পূর্ণাঙ্গ হোম সিরিজে দুটি টেস্টের পাশাপাশি তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলা হবে।

এফটিপিতে দুবার বাংলাদেশ সফরে আসবে ইংলিশরা। ২০২৩ সালের মার্চে দুই দলের তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। এরপর ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে দুটি টেস্ট খেলতে আসবে।

কিউইদের বিপক্ষে চারটি সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে তারা কিউইদের সঙ্গে তিনটি ওয়ানডে খেলবে। একই বছর নভেম্বরে ঘরের মাঠে হবে দুটি টেস্ট। পরের মাসে আবার তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে নিউজিল্যান্ড সফর করবে। এরপর আবার বাংলাদেশ ২০২৬ সালের এপ্রিলে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির জন্য নিউজিল্যান্ডকে আতিথ্য দেবে।

এই চক্রে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ২০২৪ সালের নভেম্বরে। দুটি টেস্টের সঙ্গে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ হবে। তার পরের বছর অক্টোবরে ক্যারিবিয়ানদের স্বাগত জানাবে। খেলা হবে তিনটি ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ২০২৬ সালের অক্টোবরেও উইন্ডিজের সঙ্গে ঘরের মাঠে খেলা হবে দুটি টেস্ট।

প্রোটিয়াদের সঙ্গেও খেলা হবে দুই দফায়। ২০২৪ সালের অক্টোবরে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট খেলবে তারা। দুই বছর পর ২০২৬ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে হবে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে।

জিম্বাবুয়েরও মুখোমুখি হবে তিনবার। ২০২৪ সালের এপ্রিলে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ও পাঁচ টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে। পরের বছর মার্চে আবারও হোম সিরিজে খেলা হবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি। ২০২৬ সালের জুলাইয়ে দুটি টেস্ট ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলতে জিম্বাবুয়ে সফর করবে বাংলাদেশ।

এই সময়ে দুইবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ২০২৬ সালের জুনে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের ওয়ানডের সঙ্গে সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি খেলা হবে। তারপর ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে দুটি টেস্ট দিয়ে শেষ হবে এই চক্রের আনুষ্ঠানিকতা।