ডমিঙ্গোর কাছে জানতে চাইবে বিসিবি

সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অব্যাহতি পাওয়া রাসেল ডমিঙ্গো বোমা ফাটিয়েছেন! এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) নানা অসঙ্গতির কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বিভিন্ন পরিচালকের হস্তক্ষেপে স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারা ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে নানা সময়ে খারাপ আচরণ হওয়ার কথা তুলে ধরেছেন তিনি। বিসিবি অবশ্য সবকিছু অস্বীকার করেছে। ডমিঙ্গোর কেন এমন বক্তব্য, দক্ষিণ আফ্রিকান কোচের কাছে জানতে চাইবে বিসিবি। আজ (বুধবার) এমনটাই জানিয়েছেন ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।

যদিও ডমিঙ্গোর অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি জালাল ইউনুস। তিনি জানিয়েছেন, কোচের সঙ্গে আলাপ করেই বিসিবি পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। তিনি বলেছেন, ‘আমি আসলে সবার সঙ্গে আলাপ করে মন্তব্য করতে চাই। এই সময় আমি মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’

বাজে খেললেই ক্রিকেটারদের বাজে আচরণের শিকার হতে হয়, এমন অভিযোগ ডমিঙ্গোর। এ বিষয়ে জালাল ইউনুসের বক্তব্য, ‘তবে কিছু কিছু জিনিস আছে, খেলোয়াড়দের ব্যাপারে, সেটা খেলোয়াড়দের জিজ্ঞেস করলেই হবে। কারা হ্যাম্পারিং করে না করে।’

এভাবে প্রকাশ্যে দলের ভেতরের অবস্থা নিয়ে অভিযোগ করা কাম্য নয় বলে মনে করেন বিসিবির এই পরিচালক। বরং তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে বলে পাল্টা বক্তব্য জালাল ইউনুসের, ‘অবশ্যই এটা কাম্য নয়। এখনও তার সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে এবং সরাসরি কিছু অভিযোগ আছে। এই অভিযোগগুলো আমি খণ্ডন করছি না, আমরা নিজেদের মাঝে আলাপ আলোচনা করবো। আমি মাননীয় সভাপতিকে (নাজমুল হাসান পাপন) জানিয়েছি। উনিও দেখেছেন নিউজটা।’

প্রধান কোচের এমন বক্তব্যের পর বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনা করে পরিষ্কার হতে চায় বিসিবি। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান বলেছেন, ‘আমি বললাম তো, জিনিসটা আগে খতিয়ে দেখি এবং এটা নিয়ে আমার কাছে মনে হয় বোর্ড থেকে তার কাছে একটা চিঠি যাওয়া উচিত যে, বক্তব্যগুলোতে আসলে কী বুঝাতে চেয়েছেন। যদি আমাদের পরিস্কার করে, তাহলে আমরা বুঝতে পারবো কোথায় সমস্যা হচ্ছে।’

এটাকে শোকজ হিসেবে দেখছেন না জালাল ইউনুস, ‘এটা আসলে শোকজ নয়, আমরা আসলে জানতে চাইবো। এজন্যই বললাম, এই মুহূর্তে আমি কমেন্ট করতে চাচ্ছি না। আমরা নিজেদের মাঝে আলাপ করে দেখি। আলাপ করার পরে পরবর্তী অ্যাকশনটা কী হবে সেটা আপনাদের জানাতে পারবো।’