২০০ রান তাড়ায় বাবর-রিজওয়ানের বিশ্বরেকর্ড

টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় আগের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপের রেকর্ডটা ছিল পাকিস্তানের দুই ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও বাবর আজমের। যদিও সেটি অবিচ্ছিন্ন ছিল না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিততে নতুন বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন দুই ওপেনার। তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে পাকিস্তান ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে। এই জয়ে ৭ ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতায়ও ফিরেছে স্বাগতিকরা। প্রথম ম্যাচটি জিতেছিল ইংল্যান্ড।   

রান তাড়ায় বাবর-রিজওয়ানের ওপেনিংয়ে করা আগের সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল ১৯৭ রানের। করাচিতে সেই দুজনেই আজ অবিচ্ছিন্ন জুটিতে করলেন ২০৩* রান! বাবর আজম আবার দ্বিতীয় দ্রুততম ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৮ হাজার রান স্পর্শ করেছেন। তার লেগেছে ২১৮ ইনিংস। ২১৩ ইনিংসে এই রান করে তার আগে রয়েছেন ক্রিস গেইল।   

টস জিতে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৯৯ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছিল ইংল্যান্ড। শেষ দিকে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মঈন আলীর ২৩ বলে করা ৫৫ রানের অপরাজিত ও টর্নেডো ইনিংস বড় সংগ্রহ গড়ে দিয়েছে। তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৪ ছয়।

মঈনের শেষের ঝড়ের আগে বেন ডাকেটের ২২ বলে ৪৩, হ্যারি ব্রুকের ১৯ বলে ৩১ রানও স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আগের ইনিংসের হাফসেঞ্চুরিয়ান অ্যালেক্স হেলস অবশ্য আজ ২১ বলে ২৬ রানের বেশি করতে পারেননি। ওপেনার ফিল সল্টও ২৭ বলে করেছেন ৩০ রান।

কিন্তু জবাবে পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানই ম্যাচটা বের করে নেন কোনও উইকেট না হারিয়ে। অবশ্য ২৩ রানে রিজওয়ানের ক্যাচ ফেলে দেন হেলস। এই ক্যাচ ড্রপ ইংলিশদের জন্য অভিশাপ হয়ে আসে। সেই রিজওয়ান ৩ বল বাকি থাকতে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে অবদান রেখেছেন। তার ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ৪টি ছয়। অধিনায়ক বাবর আজমতো আরও বিধ্বংসী ভূমিকায় ব্যাট করেছেন। দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে ৬৬ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ১১০ রানে অপরাজিত ছিলেন। ম্যাচসেরাও তিনি।