পড়েছে ৫ উইকেট, হাল ধরেছেন ‘জীবন’ পাওয়া আফিফ  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দারুণ বোলিংয়ে প্রথম টি-টোয়েন্টির পাওয়ার প্লে ভালো মতো কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং তিন উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ৪২ রান।   

শেষ পর্যন্ত  টস হেরে ব্যাট করতে নামা সফরকারীদের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৩ রান। ক্রিজে আছেন আফিফ হোসেন (৪৫) ও নুরুল হাসান (১৪)।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাজে শট সিলেকশনে শুরুটা প্রত্যাশা মতো হয়নি বাংলাদেশের। ঝুঁকি নিতে গিয়ে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরতে পারতেন সাব্বির। ভাগ্যভালো যে এর বদলে ‘বাই’ পেয়ে সেটি হয়ে যায় বাউন্ডারি। তৃতীয় বলে অবশ্য আর শেষ রক্ষা হয়নি। সাবির আলীর বল উঠিয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ হন বসিল হামিদের। তাও আবার রানের খাতা না খুলে। তাতে দ্বিতীয় ওভারে পড়ে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট।  

নতুন নামা লিটন দাস বাউন্ডারি মেরে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেন দ্রুতই। কিন্তু বাজে শট সিলেকশনে বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি ইনিংস। আয়ান আফজাল খানের ঘূর্ণিতে টপ এজ হয়ে ৮ বলে ১৩ রানেই তালুবন্দি হয়েছেন। মিরাজ ওপেনিং নামলেও কার্যকরী কিছু করে দেখাতে পারেননি। বরং বাজে শট সিলেকশনের বলি হতে হয় তাকেও। পেসার ফরিদের শর্ট বল এগিয়ে এসে পুল করতে চাইলে ব্যাটের কানায় লেগে বল জমা পড়ে বোলারের হাতেই। ১৪ বলে মিরাজ করতে পারেন ১২ রান।  

ষষ্ঠ ওভারে ফিরতে পারতেন আফিফও। কিন্তু বাউন্ডারি লাইনে তার ক্যাচ নিতে পারেননি স্বাগতিক ফিল্ডার। তাতে আফিফ-ইয়াসিরের ইনিংস মেরামতের সম্ভাবনা জাগলেও অষ্টম ওভারে ইতি টানেন লেগস্পিনার মেয়াপ্পান। তিনি বোলিংয়ে আসতেই বোল্ড করেন ইয়াসির আলীকে (৪)। চাপে পড়ে যাওয়া মুহূর্তেই হাল ধরেন জীবন পাওয়া আফিফ। 

মোসাদ্দেক সঙ্গ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাকে বাইরে এসে খেলতে প্রলুব্ধ করে স্টাম্পড করিয়েছেন মেয়াপ্পান। ৮ বল খেলা মোসাদ্দেক করতে পারেন ৩ রান।

শুরুতে টস হারে বাংলাদেশ। দুবাইয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নুরুল হাসান সোহান, ইয়াসির আলী ও লিটস দাস। চোটের কারণে তারা এশিয়া কাপে খেলতে পারেননি।