বাবরের মাইলফলকের ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডের সমতা

৭ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটা রোমাঞ্চকর হতে যাচ্ছে। আগের ম্যাচ জিতে ব্যবধান ৩-২ করেছিল পাকিস্তান। ষষ্ঠ ম্যাচ জিতে ইংল্যান্ডও জানান দিলো, এত সহজে সিরিজের নিষ্পত্তি হচ্ছে না। ৩৩ বল হাতে রেখে পাকিস্তানকে ৮ উইকেটে হারিয়ে সফরকারী দল সিরিজে ৩-৩ সমতা ফিরিয়েছে।    

অবশ্য ম্যাচ হারলেও ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে মাইলফলক ছুঁয়েছেন বাবর আজম। এতদিন টি-টোয়েন্টির দ্রুততম ৩ হাজার রানের রেকর্ডটি ছিল শুধুই বিরাট কোহলির। এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। দুজনেই ৮১তম ইনিংসে এসে এই মালফলক স্পর্শ করেছেন।

রেকর্ড গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইনিংসের পুরোটাই গড়তে অবদান রাখেন বাবর। তার ৫৯ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে ৬ উইকেটে ১৬৯ রান পায় স্বাগতিক দল। বাবরের ঝড়ো ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামার পর ১৫ রানে পড়ে দুই উইকেট। হায়দার আলী ১৪ বলে ১৮ রানে ফিরলে ইফতিখার কার্যকরী ব্যাটিংয়ে বাবরকে ভালোই সঙ্গ দিতে থাকেন। ২১ বলে ৩১ রান করা ইফতিখার অবশ্য তালুবন্দি হয়ে ফেরেন স্যাম কারানকে উঠিয়ে মারতে গিয়ে। তার পর বাকিরা নিজেদের ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হলেও পাকিস্তান অধিনায়কই অপরাজিত থেকে ইনিংস সমৃদ্ধ করেছেন।

ইংল্যান্ডের হয়ে ২৬ রানে দুটি নেন স্যাম কারান। ৩২ রানে দুটি নেন ডেভিড উইলিও। একটি করে উইকেট নেন রিস টপলি ও রিচার্ড গ্লিসন। 

তার পর ম্যাচটা বলতে গেলে ওপেনার ফিল সল্ট একাই শেষ করেছেন। ১৯ বলে তুলে নেন ফিফটি। তবে ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী শুরুতে অবদান ছিল অ্যালেক্স হেলসেরও। ফেরার আগে ১২ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ২৭ রান করেছেন। তার বিদায়ের সময় ৩.৫ ওভারেই ইংল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে জমা পড়ে এক উইকেটে ৫৫! পাওয়ার প্লেতেও স্কোর ৮২ হয়ে গেলে এটা নিশ্চিত হয়ে যায় যে, দাপুটে এক জয় পেতে যাচ্ছে ইংলিশ দল।

ডেভিড মালান ১৮ বলে ২৬ রানে ফিরেছেন, কিন্তু সেটি ইংলিশদের জয়ের পথে বাধা হতে পারেনি। পরে ফিল সল্টের ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৮ ও বেন ডাকেটের ২৬* রানে ২ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড ১৪.৩ ওভারেই জয় নিশ্চিত করেছে। সল্টের ৪১ বলের বিস্ফোরক ইনিংসে ছিল ১৩টি চারের মার ও ৩টি ছয়।  ম্যাচসেরাও তিনি।     

পাকিস্তানের হয়ে ৩৪ রানে দুটি উইকেটই নেন লেগ স্পিনার শাদাব খান।