বাংলাদেশের বিপক্ষে পাকিস্তানের দারুণ লড়াইয়ের আভাস

একটা সময় বাংলাদেশের কাছে প্রবল প্রতিপক্ষের নাম ছিল পাকিস্তান। এখন অবশ্য লাল-সবুজ জার্সিধারীরা নিয়মিতই তাদের হারাতে পারে। যদিও সেটি ওয়ানডে ফরম্যাটে। ১২ ম্যাচে ৬টি করে জয় পেয়েছে দুই দল। কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে কিছুটা ব্যবধান থাকলেও সেখানে বাংলাদেশের উন্নতি মন্দ নয়। ২০১৮ সালের নারী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেবার রুমানা-সালমারা পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়েছিল। একই মঞ্চে আরও একবার মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশকে তাই কঠিন প্রতিপক্ষ মানছে পাকিস্তান।

সোমবার সকাল ৯টায় সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই নম্বর গ্রাউন্ডে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে স্বাগতিক দল। রবিবার মালয়েশিয়াকে উড়িয়ে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন ম্যাচ সেরা হওয়া তুবা হাসান। পাকিস্তানের নবীন এই লেগ স্পিনারই বলে গেলেন বাংলাদেশের ম্যাচ নিয়ে তারা কতটা সিরিয়াস, ‘আমরা কাল বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে আছি। ওরা খুব ভালো দল। আশা করি, দুই দলের ম্যাচে দারুণ লড়াই হবে।’

কন্ডিশনের কথা বললে বাংলাদেশ কিছুটা এগিয়ে। সিলেটে নিয়মিতই নিগার সুলতানারা অনুশীলন করে আসছে। এখানকার ঘাস, উইকেট সব কিছুও তাদের নখদর্পণে। পাকিস্তানের এই ক্রিকেটার মনে করেন, স্পিনাররা ভালো করলে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরাটা দেওয়া সম্ভব, ‘পিচ স্পিনারদের জন্য খুব সহায়ক। যদি বোলাররা ভালো করে, তাহলে পাকিস্তান সেরাটা দিতে পারবে।’

মালয়েশিয়াকে পাকিস্তান বিন্দুমাত্র সুযোগ দেয়নি। ৫৭ রানে অলআউট করে ১ উইকেট হারিয়ে সহজ জয় তুলে নিয়েছে। ১৩ রানে ২ উইকেট নেওয়া তুবা হাসান মনে করেন, ওপেনিং জুটির কারণেই তাদের জয় সহজ হয়েছে, ‘ব্যাটাররা আজ ভালো করেছে। একটা ভালো পার্টনারশিপ ছিল। তারা খুব ভালো খেলেছে।’