বিশ্বকাপ জিততে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ১৩৮

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে ইংল্যান্ডকে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। মেলবোর্নের ফাইনালে শুরুতে ব্যাট করে বাবর আজমের দল ৮ উইকেটে ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছে।  

শুরুতে টস জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্তটা কাজে দিয়েছে ইংল্যান্ডের। পাকিস্তানকে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে দেয়নি। শুরু থেকেই বাবরদের চাপে রাখতে সক্ষম হয়েছে।  

তাতে ধীর গতির সূচনায় শুরুটা খুব আহামরি ছিল না। ৩ ওভারে হয়নি একটি বাউন্ডারিও। পঞ্চম ওভারে মোহাম্মদ রিজওয়ান (১৫) কারানের বলে বোল্ড হলে পাওয়ার প্লেতে চাপের মাঝে থেকে ব্যাটিং করেছে পাকিস্তান। তাতে ৬ ওভারে ১ উইকেটে যোগ হয়েছে ৩৯। মোহাম্মদ হারিস নেমেও রানের গতি বাড়াতে পারেননি। আদিল রশিদের বলে ৮ রান করে দলীয় ৪৫ রানে বিদায় নিয়েছেন। 

শুরু থেকে প্রান্ত আগলে ছিলেন শুধু বাবর। শান মাসুদ আসার পর দুজনে মিলে স্কোরবোর্ডের গতি বাড়িয়েছেন তার পর। ১২তম ওভারে বাবর আজম আরেকটু হাত খুলতে যাচ্ছিলেন, তখন বাজে শটে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন আদিল রশিদকে। তাতে ভাঙে ৩৯ রানের জুটি। দ্রুত ইফতিখার আহমেদের উইকেটের পতন হলে আবার চাপ বাড়ে তাদের।

তখন রানের গতি বাড়ানোর দায়িত্ব নেন শান মাসুদ ও শাদাব খান। তারা ৩৬ রানের জুটি গড়ে স্কোরটা ১৭ ওভারে ১২১ রানে নিয়ে গেছেন। এই জুটি আরও কিছুক্ষণ থাকলে ইংল্যান্ডের বিপদ বাড়ার সম্ভাবনা ছিল। ১৭তম ওভারে শান মাসুদকে সাজঘরে পাঠিয়ে দলকে উদ্ধার করেন কারান। ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ বলে ৩৮ রান করা এই ব্যাটার লিভিংস্টোনকে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। পরের ওভারে মাসুদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেন শাদাব খানও। ১৪ বলে ২ চারে ২০ রান করা শাদাব ক্রিস জর্ডানের ক্যাচে পরিণত হয়েছেন। এই দুই ব্যাটারের উইকেট তুলে নিয়েই পাকিস্তানের স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করার পথটা কঠিন করে তুলেন ইংলিশ বোলাররা। চাপে থাকায় মোহাম্মদ নওয়াজ (৫), মোহাম্মদ ওয়াসিমও (৪) দ্রুত ফিরেছেন। তার পরেও ৮ উইকেটে ১৩৭ রান তুলতে সক্ষম হয়েছে পাকিস্তান। 

ডেথ ওভারে স্যাম কারান ছিলেন সবচেয়ে সফল। ১২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। মাঝের দিকে সফল আদিল রশিদ ২২ রানে নিয়েছেন দুটি। ২৭ রানে ক্রিস জর্ডানও দুটি উইকেট নিয়েছেন। ৩২ রানে একটি নিয়েছেন বেন স্টোকস।