গত জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সমালোচিত ভেন্যু ছিল নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। মাত্র পাঁচ মাসে প্রস্তুত হওয়া এই ভেন্যুর পিচ নিয়ে সমালোচনার কমতি ছিল না। সেখানে হওয়া আট ম্যাচে গড়ে রান ছিল মাত্র ১০৮! ১৬ ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর ১৩৭। প্রায় দুই মাস পর এই ড্রপ ইন পিচের রেটিং নিয়ে অনেকের কৌতুহল মেটালো আইসিসি। মঙ্গলবার বিশ্বকাপে অনুষ্ঠিত ৫৮ ম্যাচের পিচ ও আউটফিল্ড রেটিং দিয়েছে ক্রিকেটের শীর্ষ সংস্থা।
প্রত্যাশিতভাবে নাসাউয়ের পিচ ভালো কোনও রেটিং পায়নি। তবে এই মাঠে হওয়া আট ম্যাচের সবগুলো নয়, বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচের পিচকে ‘অসন্তোষজনক’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি। শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারত ও আয়ারল্যান্ড ম্যাচের পিচ নিয়ে এই রায় তাদের। গত ৩ জুন শ্রীলঙ্কা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়। দুই দিন পর ভারতের কাছে আয়ারল্যান্ড গুটিয়ে যায় ৯৬ রানে। দ্বিতীয় ম্যাচে দুই দলের একাধিক খেলোয়াড় অসম বাউন্সের কারণে শরীর সামলাতে হিমশিম খান। রোহিত শর্মা তো পূর্বসতর্কতা হিসেবে রিটায়ার হার্ট হন। জশ লিটলের এক বল তার হাতে আঘাত করে। রিশাভ পান্তও আইরিশ পেসারের বলে আঘাত পান। যশপ্রীত বুমরার শর্ট বল আইরিশ ব্যাটার হ্যারি টেক্টরের আঙুলে লাগে।
ওই সময় অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার নিউইয়র্কের পিচকে বিপজ্জনক উল্লেখ করেন। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন একে ‘বিস্ময়কর’ আখ্যা দেন।
তবে বাকি ছয় ম্যাচের পিচ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেনি আইসিসি। শুধু নাসাউ স্টেডিয়ামের পাশে ‘অসন্তোষজনক’ তকমা লাগেনি। আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সেমিফাইনাল হয়েছিল তারৌবার ব্রায়ান লারা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ত্রিনিদাদের ওই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে রান হয় ১১৬, মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয় আফগানরা। এই পিচকেও ‘অসন্তোষজনক’ রেটিং দিয়েছে আইসিসি।
৫২ ম্যাচের মধ্যে বাকি ৩১ পিচ ‘সন্তোষজনক’ এবং ১৮ পিচ ‘খুব ভালো’ রেটিং পেয়েছে বিশ্ব ক্রিকেট সংস্থার কাছ থেকে।