চট্টগ্রামে টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি

ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে উন্মাদনা এখন আকাশচুম্বী। বিশেষ করে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা নিয়ে এ দেশের ফুটবল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস থাকে বাঁধ ভাঙা। ফুটবল উন্মাদনার মাঝে চলছে বাংলাদেশ-ভারত হোম সিরিজ। তার পরেও বাংলাদেশের সমর্থকদের আগ্রহের মাঝে রয়েছে সিরিজটি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তো টিকিট থাকা সত্ত্বেও দর্শকরা মাঠে ঢুকতে পারেননি। চট্টগ্রামেও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না। টিকিট নিয়ে কাড়াকাড়ি চলছে সর্বত্র।

শনিবার অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি মাঠে বসে দেখার আশায় সোনার হরিণ নামক একটি টিকিটের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছেন দর্শকরা। কেউ কেউ লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার অপেক্ষায় আছেন।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠেয় সিরিজের শেষ ওয়ানডের টিকিট নিয়ে ক্রিকেটমোদীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা গেছে। চট্টগ্রামের বিটাক মোড়ের কাছে সাগরিকা টিকিট কাউন্টার ও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের কাউন্টারে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছেন ভক্তরা।

যে কোনও ক্রীড়াপ্রেমী দর্শকদের জন্য আজ ও আগামী দিনটি নিঃসন্দেহ উৎসবের। আজ রাত নয়টায় ব্রাজিল ভক্তরা প্রিয় দল নিয়ে মেতে থাকবেন। এরপর দিবাগত রাতে আর্জেন্টিনারও সেমিফাইনাল যাওয়ার মিশন। বলা যায় দুই দলের সমর্থকদের আজ ঈদের আনন্দ! আর রাত পোহালেই ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে মাঠে নামবে স্বাগতিক বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে ক্রীড়াপ্রেমী সমর্থকদের যেন অবসর নেই, ক্লান্তি তো দূরের কথা। চোখের ঘুম হারাম করে হোক আর কষ্ট করে টিকিট সংগ্রহ করেই হোক-প্রিয় দলের খেলাতো দেখতেই হবে।

ভারতের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডেই মিরাজ বীরত্বে জিতেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সিরিজের জয়ের পর বাংলাদেশের লক্ষ্য এখন হোয়াইটওয়াশ। ফলে সাকিব-মিরাজদের সঙ্গে মাঠে বসে ইতিহাসের সাক্ষী হতে আগ্রহী টিকিট প্রত্যাশীরাও। এছাড়া উপলক্ষ আছে আরও। চট্টগ্রামে ক্রিকেট ফিরেছে লম্বা সময় পর। সাগরিকার এই ম্যাঠে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়নি দীর্ঘ আট মাস। গত মার্চে এখানে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ শেষ ম্যাচ খেলেছে। এসব কারণেই টিকিট নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে এতো আগ্রহ।

আবদুল্লাহ মারুফ নামের এক শিক্ষার্থীও টিকিট কাটার জন্য লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। দীর্ঘসময় পর চট্টগ্রামের মাঠে দলকে সমর্থন জানাতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি, ‘ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, আমার বিশ্বাস চট্টগ্রামেও এমন ম্যাচ হবে। এমন বাংলাদেশকে মাঠে বসে সমর্থন দিতে না পারাটা, খুবই বাজে অনুভূতি হবে। তাই কষ্ট করে লাইনে দাঁড়িয়েছি। আশা করি, টিকিট পাবো। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতলেই আমাদের এই কষ্ট দূর হয়ে যাবে।’