ভারতের ৪০৯ রান, জিততে ইতিহাস বদলাতে হবে বাংলাদেশকে

সিরিজ হারলেও বাংলাদেশের কাছ থেকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা থেকে বাঁচতে রানের পাহাড় গড়েছে ভারতীয় দল। ইশান কিশানের বিস্ফোরক ডাবল ও বিরাট কোহলির আক্রমণাত্মক সেঞ্চুরিতে চট্টগ্রামে তৃতীয় ওয়ানডেতে সফরকারী দল ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করেছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে যে কোন দলের সর্বোচ্চ স্কোর এটি।

শেষ ম্যাচ জিততে হলে ইতিহাস পাল্টাতে হবে স্বাগতিকদের। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানই হচ্ছে ৩৩৩। আর ৪০০ বা তার বেশি রান তাড়া করে জেতার নজিরও একটি। ২০০৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ রান তাড়া করে জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

টস জিতে শুরুতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানে শিখর ধাওয়ানের উইকেট তুলে শুরুটা প্রত্যাশা মতোও হয়েছিল। সব কিছু উলট-পালট হয়ে গেছে রোহিত শর্মার জায়গায় খেলতে আসা ইশান কিশান-ঝড়ে। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে ওয়ানডের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। রেকর্ড ইনিংসটি খেলার পথে এই ব্যাটার দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ২৯০ রানও। এই সময় তাকে যোগ্য দেন বিরাট কোহলি। তিনি আবার তুলে নেন দুর্দান্ত সেঞ্চুরি। এই জুটির সামনে বাংলাদেশ পাত্তাই পায়নি। বিপরীতে তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়েই চারশো রানের ভিত তৈরি হয়েছে। দুর্দান্ত এই জুটি ভাঙে ইশান কিশানের বিদায়ে। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবলের দেখা পাওয়া এই ব্যাটার ২১০ রানে ফিরেছেন। তার ১৩১ বলের ইনিংসে ছিল ২৪টি চার ও ১০ ছক্কার মার।

এই দুজনের জুটি এতই আগ্রাসী ছিল যে ভারত ৩৬ ওভারেই তিনশো ছুঁয়ে ফেলে। স্কোর আরও বড় হতে পারতো যদি তাসকিনের বলে ইশানের ক্যাচ আউটের পর দ্রুত কিছু উইকেটের পতন না ঘটতো। তার পরেও তাদের চারশো রান পাওয়া থেকে বিরত রাখা যায়নি।

কিশানের বিদায়ের পর শ্রেয়াস আইরাকে দ্রুত বিদায় দিয়েছেন এবাদত। ৩ রানে তাকে লিটনের হাতে তালুবন্দি করিয়েছেন। এবাদতের বোলিংয়ে তার পর অধিনায়ক লোকেশ রাহুলও বোল্ড হন ৮ রানে। ৪৪তম সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া কোহলি তার পর স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ করতে থাকলে তাকে থামান সাকিব আল হাসান। দ্রুত উইকেট পতনের মিছিলের পর স্কোরবোর্ড চারশো ছাড়িয়েছে ওয়াশিংটন সুন্দর ও অক্ষর প্যাটেলের কার্যকরী ব্যাটিংয়ে। দলীয় ৩৯০ রানে অক্ষরকে (১৭) ফিরিয়েছেন তাসকিন। ২৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৭ রান করা ওয়াশিংনটকে সাকিব বিদায় দিলেও ততক্ষণে চারশো তারা পার করে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ৪০৯ রান করতে পারে ভারতীয় দল।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ভারত: ৪০৯/৮ (ইশান ২১০, কোহলি ১১৩, ওয়াশিংটন ৩৭; সাকিব ২/৬৮, এবাদত ২/৮০, তাসকিন ২/৮৯, মোস্তাফিজ ১/৬৬, মিরাজ ১/৭৬)