বাংলাদেশে খর্ব শক্তির দল নিয়ে আসবে ইংল্যান্ড?

বাংলাদেশ সফরে আগেই প্রস্তুতি ম্যাচ বাতিল করেছে ইংল্যান্ড। এবার জানা গেলো, সফরের শুরুর দিকে খর্ব শক্তির দল নিয়ে আসতে বাধ্য হচ্ছে তারা। নিয়মিত স্কোয়াডের অন্তত ১৫ জনকে এই সফরের শুরুতে পাওয়া যাচ্ছে না।

মূলত এক সূচির সঙ্গে অন্য সূচির সংঘর্ষ, ইনজুরি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের চাপে ইংলিশ কোচ ম্যাথিউ মট ও অধিনায়ক জশ বাটলারকে বিকল্প পথে হাঁটতে হচ্ছে।

এই অবস্থায় ইংল্যান্ডের স্কোয়াডে কিছু প্রতিষ্ঠিত খেলোয়াড়ের সঙ্গে, উদীয়মান প্রতিভা ও নতুন মুখদের নিয়েই বাটলার বাংলাদেশ সফরে আসবেন। নির্বাচকরা দল ঘোষণা করবেন এই সপ্তাহেই। এমন তথ্য জানিয়েছে দ্য টেলিগ্রাফ।  

বাংলাদেশে হতে যাওয়া তিন ওয়ানডে ও সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের অক্টোবরে। ওই সিরিজটি পিছিয়ে আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সোমবার টেলিগ্রাফের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের লোভে বাংলাদেশ সফর এড়িয়ে যাচ্ছেন অ্যালেক্স হেলস। তিনি পাকিস্তান সুপার লিগকে এই সময়ের জন্য বেছে নিয়েছেন। লিগে তার দল ইসলামাবাদ ইউনাইটেড। হেলসকে অনুসরণ করতে যাচ্ছেন স্যাম বিলিংস, লিয়াম ডসন ও জেমস ভিন্সও। যেহেতু পিএসএল ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে। তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে এই খেলোয়াড়দের পাওয়া যাচ্ছে না।

অপর দিকে ঠাসা সূচির বিষয়টিও ভোগাচ্ছে। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে শুরু ১ মার্চ। আর নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েলিংটনের দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। ফলে কিউইদের বিপক্ষে টেস্ট দলে যেসব ইংলিশ খেলোয়াড়রা থাকছেন। তারাও এই সময়ে বাংলাদেশ সফরে থাকতে পারছেন না। ফলে হ্যারি ব্রুক, বেন ডাকেট, ওলি স্টোন ও জো রুটেরও এই সময়ে বাংলাদেশে খেলা হচ্ছে না। তবে উইল জ্যাকস যদি একাদশে স্থান না পান, সেক্ষেত্রে তার বাংলাদেশ সফরে খেলার সম্ভাবনা আছে।   

ইনজুরির কারণে খেলা হচ্ছে না জনি বেয়ারস্টো ও লিয়াম লিভিংস্টোনের। তবে বর্তমানে বিশ্রামে থাকা মার্ক উডের বাংলাদেশ সফরে ফেরাটা নিশ্চিত।

অবশ্য জাতীয় দল বাদ দিয়ে ক্রিকেটারদের লিগ বেছে নেওয়ার বিষয়টি ইংলিশ জাতীয় দলের কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট যেহেতু আর্থিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। তাই জাতীয় দলের প্রাধান্য বাড়াতে আর্থিক দিকটিকে আরও শক্তিশালী করার কথা উঠছে। বিশেষ করে সফর ও ম্যাচ ফি’র ক্ষেত্রে বাড়তি প্রণোদনার ব্যাপারে। ওয়ানডের ক্ষেত্রে ক্রিকেটাররা এখন ৫ হাজার পাউন্ড পেয়ে থাকেন। আর টি-টোয়েন্টির ক্ষেত্রে আড়াই হাজার পাউন্ড।