সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করতে পারবে তো দ. আফ্রিকা?

ইংল্যান্ডের জন্য জোফরা আর্চারের প্রত্যাবর্তন সুখকর হলেও দক্ষিণ আফ্রিকার বেলায় সেটা কাঁটা বিছিয়ে দিয়েছে। প্রোটিয়ারা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ জিততে (২-১) পারলেও শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে ইংলিশ দল। তাতে এই বছরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপে সরাসরি যাওয়ার পথে বড় ধাক্কা খেয়েছে প্রোটিয়ারা।

শেষ ম্যাচ জিতলে সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে আটে চলে আসতো দক্ষিণ আফ্রিকা। পেছনে ফেলতে পারতো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

কিন্তু ইংল্যান্ডের কাছে শেষ ওয়ানডে ৫৯ রানে হারায় সরাসরি বিশ্বকাপে যাওয়ার পথটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ জিতেও সম্ভাবনা বাঁচিয়ে রাখা যাবে। কিন্তু আসন্ন নিউজিল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা সিরিজটাই মূলত ভাগ্য গড়ে দেবে শীর্ষ আটে থাকবে কারা। যেহেতু সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে শীর্ষে থাকা আটটি দল।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবগুলো ম্যাচ খেলে ফেলায় তাদের আর উত্থানের সুযোগ নেই। আটে থাকা ক্যারিবীয়দের পয়েন্ট ৮৮। আর নয়ে থাকা প্রোটিয়াদের সংগ্রহ ৭৯।  দশে থাকা শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৭৭ পয়েন্ট। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজ থেকে তারা সর্বোচ্চ ১০৭ পয়েন্ট অর্জন করতে পারবে। তাহলে আটে চলে আসবে লঙ্কানরাই। প্রোটিয়ারা পরের দুই ম্যাচ জিতলে পয়েন্ট হবে ৯৯।  

সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিল। শেষ পর্যন্ত ভাগ্য সহায় না হলে বাছাই খেলেই বিশ্বকাপে আসতে হবে প্রোটিয়াদের। জুনে জিম্বাবুয়েতে সুপার লিগে নিচের দিকে থাকা ৫টি দল ও ৫টি সহযোগী দেশ বাকি দুই স্পটের জন্য লড়াইয়ে নামবে। ভাগ্য সহায় না হলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা শ্রীলঙ্কাকে সেই পথ দিয়েই এগুতে হবে।

শেষ ওয়ানডে জিততে প্রোটিয়াদের রুখে দিয়েছেন মূলত পেসার আর্চার। শুরুতে ডেডিভ মালান ও জশ বাটলারের অপ্রতিরোধ্য ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ৩৪৬ রানের পুঁজি পায় ইংলিশ দল। ১১৪ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১১৮ রান করেছেন মালান। অধিনায়ক বাটলার ১২৭ বলে ১৩১ রানে তুলে নিয়েছেন ১১তম সেঞ্চুরি। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৭টি ছয়ের মার।

জবাবে আর্চারের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে প্রোটিয়ারা ৪৩.১ ওভারে ২৮৭ রানেই অলআউট হয়েছে। আর্চার ৪০ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন। তবে ম্যাচসেরা হয়েছেন বাটলার।