রংপুরের জয়ে শুধু ঢাকা নয়, ছিটকে গেলো চট্টগ্রামও

ফরচুন বরিশাল, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্লে-অফ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। বাকি থাকা চার দলের একটি দল খেলবে প্লে-অফ। রংপুর রাইডার্সের জয়-পরাজয়ের উপরই নির্ভর ছিল খুলনা টাইগার্স, ঢাকা ডমিনেটরস ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ভাগ্য! বরিশালের বিপক্ষে দিনের প্রথম ম্যাচ হেরে টুর্নামেন্ট প্লে-অফ খেলার আশা শেষ হয়ে গেছে খুলনার। আর দ্বিতীয় ম্যাচে রংপুর জেতায় শুধু ঢাকা নয়, প্লে-অফ থেকে ছিটকে গেছে চট্টগ্রামও। বিপিএলের বাকি ম্যাচগুলো জিতলেও এই দুই দলের আর কোনও সুযোগ নেই।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ঢাকা ডমিনেটরস ১৩০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে খেলতে নেমে নুরুল হাসানের হাফ সেঞ্চুরি (৬১) ও রনি তালুকদারের ৩৪ রানে ৩ বল আগে ২ উইকেটে জয় নিশ্চিত করে রংপুর রাইডার্স। আর তাতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফ নিশ্চিত করলো তারা।

১৩১ রানের সাদামাটা লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে নাঈম শেখ (০) রানে বিদায় নেওয়ার পর দলীয় ৯ রানে বিদায় নেন মেহেদী হাসানও (৪)। এরপর তৃতীয় উইকেটে রনি তালুকদার ও নুরুল হাসান মিলে ৯৩ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথটা সুগম করেন। রনি ৩৯ বলে ৩৪ রান করে আউট হলেও টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন সোহান। ৩৩ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৬১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর দ্রুত শোয়েব মালিক (৭) ও মোহাম্মদ নওয়াজ (১) বিদায় নেন। শোয়েব তার ৫০০ তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে ব্যর্থ হয়েছেন। মিডল অর্ডারে শামীম, রাকিবুল দৃঢ়তা দেখাতে না পারায় সহজ ম্যাচটি অনেকটা কঠিন করে জিতেছে রংপুর।

আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচে ছিলেন না ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ। তার বদলে মাঠে নামা শরিফুল দারুণ বোলিং করেছেন। ১২ রান খরচায় তার শিকার ৩ উইকেট।  নাসির হোসেন ২০ রান খরচায় শিকার করেন ৪ উইকেট। আমির হামজা নেন একটি উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়ে ঢাকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরে রংপুর। ৪৯ রানে টপ অর্ডারের ৪ ব্যাটারকে তুলে নিয়ে ঢাকার মেরুদণ্ডটাই ভেঙ্গে দেন রংপুরের বোলাররা। টপ অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন (৫) ও নাসির হোসেন (২) রানের বেশি করতে পারেননি। সৌম্য সরকার আউট হয়েছেন ১২ বরে ৩ রান করে। আরিফুল হকের ২৬ বলে ২৭ এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের ২৭ বলে ২৩ রান করেন। এর বাইরে অ্যলেক্স ব্লেকের ১৮, আমির হামজার ১৫ রানের উপর দাঁড়িয়ে কোনমতে  ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।

রংপুরের বোলারদের মধ্যে আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২২ রানে দুটি উইকেট নেন। এছাড়া মেহেদী, হারিস, হাসান মাহমুদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।