শাদাবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো পাকিস্তান

তিন টি-টোয়েন্টির শেষ ম্যাচে ভিন্ন রূপে দেখা গেলো পাকিস্তান আর আফগানিস্তানকে। আগের দুই ম্যাচে বাজে ব্যাটিং, বোলিং করা পাকিস্তান এবার দুই বিভাগেই দুর্দান্ত। গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন অধিনায়ক শাদাব খান। ১৮৩ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৮ বল হাতে রেখে ৬৬ রানে জেতে পাকিস্তান, এড়ায় হোয়াইটওয়াশ। অন্যদিকে দাপট দেখিয়ে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ জেতা আফগানদের শেষটা হলো বাজে। সিরিজ ২-১ এ জিতলো তারা।

ব্যাট হাতে ছোট কিন্তু ঝকঝকে এক ইনিংস খেলেন শাদাব। পরে বল হাতে ইব্রাহিম জাদরানকে (৩) বেশিদূর যেতে দেননি। এরপর ১২তম ওভারে জোড়া আঘাতে উসমান গনি (১৫) ও মুজিব উর রহমানকে (০) ফেরান।

আগের ওভারে মোহাম্মদ নবী ১৭ রানে রান আউট হন এবং করিম জানাতকে শূন্য রানে ফেরান ইহসানউল্লাহ। এই ২ ওভারে ৪ উইকেট পড়লে আর দাঁড়াতে পারেনি আফগানিস্তান।

দুই দফায় আফগানরা বিপদে পড়ে। ৩৫ থেকে ৩৯ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায়। দলীয় ৭১ রানে আরেকবার ধস নামে। ৩ উইকেটে ৭১ রান করা দলটির ৯ উইকেট নেই ৯৫ রানে। নাজিবউল্লাহ জাদরানের কনকাশন সাব হয়ে নামা আজমতউল্লাহ উমরজাই শেষ জুটিতে ঝড় তোলেন। তাতে একশ পার করে আফগানরা। তাকে ফিরিয়ে আফগানিস্তানকে ১৮.৪ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে দেন জামান খান।

শাদাব ৪ ওভারে ১৩ রানে ৩ উইকেট নেন। ব্যাট হাতেও ক্যামিও ইনিংস খেলেন। প্রত্যাশিতভাবে ম্যাচসেরা হন তিনি। সমান সংখ্যক উইকেট নেন ইহসানউল্লাহ।

আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ হারিসকে (১) নিজের প্রথম বলেই ফেরান মুজিব। তৈয়ব তাহিরও (১০) নবীর প্রথম বলে আউট। আগের চার ম্যাচে ডাক মারা আব্দুল্লাহ শফিক অবশেষে রানের দেখা পেলেন। ১৩ বলে ১ চার ও ২ ছয়ে ২৩ রান করেন তিনি। সাইম আইয়ুব ১ রানের জন্য হাফ সেঞ্চুরি পাননি। ৪০ বলে ৪ চার ও ২ ছয়ে ৪৯ রান করেন তিনি।

ইমাদ ওয়াসিম ৭ বলে ১৩ রানের ছোট ইনিংসে রানের গতি ধরে রাখেন। তার বিদায়ের পরে শাদাব ও ইফতিখার ৩৮ রানের জুটিতে দেড়শ পার করে পাকিস্তান। ইফতিখার ২৫ বলে ৩১ ও শাদাব ১৭ বলে ৫ চারে ২৮ রান করেন। মোহাম্মদ নওয়াজ ৫ ও ওয়সিম জুনিয়র ৯ রানে অপরাজিত থেকে রান ১৮২ এর ঘরে নেন, পড়েছিল ৭ উইকেট।