মোহামেডানের জয়ের নায়ক মাহমুদউল্লাহ

সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করেছিল মোহামেডান। তৃতীয় ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে ঐতিহ্যবাহীরা।

মাহমুদউল্লাহ, আব্দুল মজিদ ও আরিফুল হকের হাফ সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ২৪১ রানের লক্ষ্য দেয় মোহামেডান। জবাবে ৪৯ ওভারে ২২০ রানে অলআউট হয়েছে আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন গাজী গ্রুপ। তাতে ২০ রানের জয়ে হারের বৃত্ত ভেঙেছে ইমরুল কায়েসের দল। মোহামেডানের জয়ের নায়ক জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া মাহমুদউল্লাহ।

ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় মোহামেডান। মিডল অর্ডারের দৃঢ়তায় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি ২৪১ রানের লক্ষ্য দিতে পারে। জবাবে খেলতে নেমে ৯ রানেই ওপেনার শাকিল হোসেনকে হারায় গাজী গ্রুপ। মেহেদী মারুফ ও ফরহাদ হোসেন মিলে ৫৯ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামাল দিয়েছেন। ফরহাদ ২৩ রানে সাজঘরে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই ধস নামে ইনিংসে। সাজঘরে ফেরেন মারুফ (৪২) ও মাহমুদুল হাসান (৯)।

এরপর আকবর আলী ও শেখ মেহেদী হাসান মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও স্থায়ী হয়নি তাদের প্রতিরোধ। ৩৯ রানের জুটি ভাঙে আকবর (২৩) নাজমুলের বলে ক্লিন বোল্ড হলে। সবমিলিয়ে ৪৯ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে গাজীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ২২০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করা মেহরাবের ইনিংসটি বৃথা যায় শেষ পর্যন্ত।

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে নাজমুল অপু, এনামুল হক জুনিয়র, মুশফিক হাসান ও খালেদ আহমেদ প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা মোহামেডানের শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। ১৭ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার! চতুর্থ উইকেটে আব্দুল মজিদ ও মাহমুদউল্লাহ মিলে ১৩৩ রানের জুটিতেই সেই ধাক্কা ভালোমতো সামাল দিয়েছেন। ৮৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৬৩ রানের ইনিংস খেলে মজিদ আউট হলে ভাঙে জুটি। স্কোরবোর্ডে আরও ১৫ রান যোগ হতেই আউট হন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদউল্লাহ। ৯৬ বলে ৩ চার ও ৩ ছক্কায় ৭১ রান করেছেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর সাত নম্বরে নামা আরিফুল হকের ৪৪ বলে ৫৫ রান স্কোরবোর্ডকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।

গাজী গ্রুপের বোলারদের মধ্যে টিপু সুলতান ৩১ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আনামুল হক ও জয়নুল ইসলাম দুটি এবং মাহমুদুল হাসান ও নিহাদ উজ্জামান নেন একটি করে উইকেট।