প্লেয়ার বাই চয়েজ ইস্যুতে সিদ্ধান্ত শিগগির

প্রিমিয়ার লিগে 'প্লেয়ার বাই চয়েজ' পদ্ধতি নিয়ে ক্লাব ও খেলোয়াড়রা মুখোমুখি। একপক্ষ চায় প্লেয়ার বাই চয়েজ, অন্য পক্ষ চায় সনাতন পদ্ধতিতেই হোক দল-বদল। তবে বিসিবি সভাপতি এখনও কোনও পক্ষেই অবস্থান নেননি।
সোমবার বোর্ড সভায় চার পরিচালককে নিয়ে একটি কমিটি করে দিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তাদের কাজ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে প্রত্যাশিত পারিশ্রমিক নির্ধারণ করা। পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে বিসিব সভাপতি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি করেছি। যাতে খেলোয়াড়দের দাম বাড়ানোর জন্য আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। আগে যেটা হতো একজন পেসার হয়তো অনেক দাম পেতো। কিন্তু অন্যরা টাকা পেতো না। সবাই যাতে বেশি টাকা পায়, এ জন্য এনায়েত হোসেন সিরাজ ভাইয়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে দিয়েছি। এখানে ববি ভাই, দুর্জয় আছে, টেংকু ভাই রয়েছেন। তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাকে একটি প্রস্তাব দেবেন। এদের কাজ হবে খেলোয়াড়দের দাম তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ানোর। আশা করছি পরশু দিনের মধ্যে আমরা এটা পেয়ে যাবো।’ 

এছাড়া সভাতে আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান বোর্ড সভাপতি। বিসিবি ৫ বছরের জন্য একটি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে রস টার্নারকে প্রস্তাব পাঠিয়েছিলো। এটারও অনুমোদনও সোমবার হয়েছে বোর্ড সভাতে।

বিসিবি ক্রিকেটাদের প্রযুক্তিগত উন্নতির লক্ষ্যে নতুন একটি সফটওয়্যার কেনার পরিকল্পনা করছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নতুন একটি সফটওয়্যার বের হয়েছে। যার মাধ্যমে সবগুলো দেশের ক্রিকেটারদের তথ্য আমরা জানতে পারবো। প্রতিপক্ষ দলগুলোর শক্তিশালী দিক কিংবা দুর্বল দিকগুলো জানতে পারবো। অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় দল হিসেবে এই সফটওয়্যার আমরা ব্যবহার করবো।'

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে ক্রিকেটার বাছাইয়ের জন্য দুইজন মাত্র নির্বাচক ছিলো। এখন থেকে সেই দলে আরও দুইজন তরুন নির্বাচক যুক্ত হয়েছে। যারা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে তরুন ক্রিকেটারদের তুলে নিয়ে আসবে। ২০১৪ সালে ইউনিসেফ আইসিসির সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। যা বিবেচনা করে বাংলাদেশ দলের জার্সির কলারে এখন থেকে ইউনিসেফের লোগো ব্যবহার করা হবে বলে জানান বিসিবি সভাপতি।

/আরআই/এমআর/