বৃষ্টি আর লাবুশেনের সেঞ্চুরিতে কিছুটা স্বস্তিতে অস্ট্রেলিয়া

ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের শেষ দিকে বৃষ্টি বাগড়া দিতে পারে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসই বলছিল সেই কথা। ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে চেপে ধরার পর জশ হ্যাজেলউড বলেছিলেন, ‘কয়েক ওভার খেলা না হলে ভালোই হবে।’ বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত সুপ্রসন্ন হয়ে এলো অস্ট্রেলিয়ার কপালে। সফরকারীদের স্বস্তির পরশ এনে দিতে মার্নাস লাবুশেনের অবদানও অনস্বীকার্য। 

মার্শ ও লাবুশেনের জুটি ছিল শতরানের

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের পুরোটাই গেছে বৃষ্টির পেটে। লাঞ্চের পর যখন আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটার মার্নাস লাবুশেন ও মিচেল মার্শ নামেন, বৃষ্টিভেজা পিচে পেসারদের ভালোভাবে সামাল দিয়েছেন। দ্বিতীয় সেশনের অর্ধেক সময় পার হতেই আলোকস্বল্পতার কারণে স্পিনারদের বল করতে হয়েছিল। মঈন আলী ও জো রুট হাত ঘুরান দিনের ১৭ ওভারের পর থেকে। 

স্লিপে ক্রলির হাতে অল্পের জন্য জীবন পান লাবুশেন

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে লাবুশেন ম্যাচে দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। এমনকি ইংল্যান্ডের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরিও হয়ে যায় তার। ২৪ ইনিংসে প্রথম শতক হাঁকানোর পর আর লম্বা সময় থাকতে পারেননি। রুটের বলে জনি বেয়ারস্টোর ক্যাচ হন। অবশ্য আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নিতে হয়েছিল ইংল্যান্ডকে এবং তারা সফল। ১৭৩ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ১১১ রান করে আউট হন লাবুশেন। মার্শের সঙ্গে ১০৩ রানের জুটি ভেঙে যায়।

ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি লাবুশেনের

ক্যামেরন গ্রিন ও মার্শ জুটিতে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে হয়নি। চা বিরতিতে যায় দুই দল। তারপর আবার বৃষ্টি, কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার ভারী। দুই দফায় বৃষ্টি নামার মাঝে ৩০ ওভারের খেলা হলো, যেই সময়টা অস্ট্রেলিয়া স্বস্তিতে থাকার মতোই খেলেছে। আর ইংল্যান্ড মাত্র একটি উইকেট নিয়ে প্রার্থনা করছে, শেষ দিন অন্তত পুরোটা সময় খেলা হোক। তাদের যে দরকার আর ৫ উইকেট। অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে ৬১ রানে। পুরো দিন খেলা হলে অজিদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জই অপেক্ষা করছে।

চা বিরতির আগে মার্শ ও গ্রিন অপরাজিত ছিলেন

৪ উইকেটে ১১৩ রানে দিন শুরু করেছিল অস্ট্রেলিয়া। বৃষ্টিবিঘ্নিত দিন শেষ করেছে তারা ৫ উইকেটে ২১৪ রানে। মার্শ ৩১ ও গ্রিন ৩ রানে অপরাজিত। এই দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তার ওপর সফরকারীদের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে।