এসিসির সমালোচনা করে পোস্ট সরিয়ে নিলেন সাকিবদের কম্পিউটার বিশ্লেষক

বৃষ্টির আশঙ্কা মাথায় রেখে নিয়ম পাল্টে ফেলেছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। সুপার লিগে চারটি দল খেললেও সবার জন্য একই নিয়ম রাখেনি তারা। মাঝ পথে শুধুমাত্র ভারত ও পাকিস্তানের সুপার ফোরের ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে! যা নিয়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে এসিসি। বাংলাদেশ দলের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর ভারতীয় নাগরিক। সেই তিনিই তীব্র সমালোচনা করেছেন এসিসিরি এমন সিদ্ধান্তের।

কলম্বোতে ভারত ও পাকিস্তানের এশিয়া কাপের গ্রুপ ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গিয়েছিল। ফলে পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে দুই দল। এই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি যেন না হয়, সেজন্য ভেন্যু স্থানান্তরের পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। শেষ পর্যন্ত বাকি দুটি দলকে বঞ্চিত করে মাঝপথে কেবলমাত্র ভারত ও পাকিস্তানের ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে। 

শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরের ইনস্টাগ্রাম পোস্ট।বিষয়টি নিয়ে তীব্র সমালোচনা করে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের কম্পিউটার বিশ্লেষক শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখর। তিনি লিখেছেন, ‘ভালো হতো তিন ম্যাচের দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলা। সেখান থেকে এশিয়া কাপের বিজয়ী নির্ধারণ করা যেত। সমতা না থাকলে কেন ছয় দলের টুর্নামেন্ট হবে?’

শ্রীনিবাসের এমন পোস্ট অবশ্য বেশিক্ষণ থাকেনি। অদৃশ্য কারণে তিনি তার ইনস্টাগ্রাম থেকে পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছেন।

বাংলাদেশের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেও বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি, ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘আমি আগে কখনও কোনও টুর্নামেন্টে (এক টুর্নামেন্টে দুই নীতি) এরকম কিছু দেখিনি। টুর্নামেন্টের মাঝপথে নিয়ম পরিবর্তন হওয়া আমার জন্য নতুন বিষয়।’

আগামী রবিবার পাকিস্তান ও ভারতের ম্যাচে বৃষ্টির আশঙ্কা ৯০ শতাংশ। ওই দিনেই দৈর্ঘ্য কমিয়ে হলেও ম্যাচ শেষ করার পরিকল্পনা। সেটা সম্ভব না হলে রিজার্ভ ডেতে নির্ধারিত দিনের সবশেষ বল থেকেই শুরু হবে খেলা।

ভারতের দুটি গ্রুপ ম্যাচেই ছিল বৃষ্টির দাপট। প্রথম ম্যাচে তাদের ব্যাটিং ইনিংস শেষ হলেও পাকিস্তান বোলিংয়ে নামতে পারেনি। নেপাল ম্যাচেও বৃষ্টিতে রান তাড়ার জন্য ভারতকে বেঁধে দেওয়া হয় ২৩ ওভার। ম্যাচটি জিতে সুপার ফোর নিশ্চিত করেন রোহিত শর্মারা।

এরপরই পাকিস্তান এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে সুপার ফোরের ম্যাচটি কলম্বো থেকে হাম্বানটোটায় সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু স্টেকহোল্ডারদের কথা ভেবে কলম্বোতেই ম্যাচ আয়োজনের কথা জানায় এসিসি।