সামাজিক মাধ্যমে হরহামেশাই ক্রিকেটার, সংগঠক, কোচ কিংবা নির্বাচকদের নিয়ে অযাচিত ট্রল হতেই থাকে। কয়েক বছর আগে এমন ট্রলের শিকার হচ্ছিলেন নাজমুল হোসেন শান্তও। টানা ব্যর্থতার পর শান্তকে ‘লর্ড’ বলে সামাজিক মাধ্যমে ট্রল করা হতো। দারুণ পারফর্ম করা এই তরুণ এখন বাংলাদেশ জাতীয় দলের অধিনায়ক। মঙ্গলবার সেই ‘লর্ড’ তকমা নিয়েই আলোচনা করেছেণ খালেদ মাহমুদ সুজন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হওয়া সমালোচনার কথা বলতে গিয়ে সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির পরিচালক সজুন বলেছেন, ‘লর্ড শান্ত আজ তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের ক্যাপ্টেন। কয়দিন আগেই শান্ত লর্ড ছিল।’
অযাচিত ট্রল না করে কাজের প্রশংসা করার অনুরোধ করেছেন সুজন, ‘এ সব কথা (সমালোচনা) সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই ছড়ায়। আপনাদের দায়িত্ব খুব জরুরি, সমালোচনা থাকবেই। শান্ত ভালো খেলবে না, সমালোচনা হবে। লিপু ভাই ভালো কাজ করবে না, সমালোচনা হবে। কিন্তু লিপু ভাইয়ের ভালো কাজের কথাও বলতে হবে।’
শান্ত তিন ফরম্যাটের দায়িত্ব পাওয়ার আগেই দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে। যার শুরুটা হয়েছিল গত বছর ২৬ সেপ্টেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে। লিটন দাস বিশ্রামে থাকায় শান্তকে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। এরপর বিশ্বকাপে সাকিবের ইনজুরিতে দুই ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম এন্ড অ্যাওয়ে সিরিজে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন তিনি।
শান্তকে নেতৃত্বের জন্য সেরা পছন্দ বলে মনে করেন সুজন, ‘না অবাক হওয়ার বিষয় নয়। শান্ত তো ৩ ফরম্যাটেই খেলছে। এটা আমার কাছে অবাক করার মতো কিছু না। সাকিব যদি না করে আমি মনে করি শান্ত অন্যতম সেরা পছন্দ। এ নিয়ে সন্দেহ নেই। শান্ত একদম মাঠের ছেলে।’
সুজন আরও বলেছেন, ‘হয়ত এক ফরম্যাটে অন্য এক ক্যাপ্টেন দিতে পারতাম। লাল বল, সাদা বল আলাদা হতো। অনেক সময় ভালোও হয়, খারাপও হয়। যেহেতু শান্ত ৩ ফরম্যাট খেলছে। দল নিয়ে কাজ করতে পারবে। ওকে শুভকামনা জানাই। এক বছর দেওয়া হয়েছে ওকে, ও যেন ভালো কিছু করে; লম্বা সময় অধিনায়কত্ব করে পারফরম্যান্স ধরে রাখে।’