বাদ পড়েও লিটনের ব্যাটে এলো মাত্র ৫ রান!

লিটন দাস শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ ওয়ানডে থেকে বাদ পড়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে মন খারাপ করেই হোটেল থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। বিকালের ফ্লাইটে ঢাকায় নেমে রবিবার সকালে চলে যেতে হয় বিকেএসপি। লিটনকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলতে। সেই নির্দেশনা মেনে আজ আবাহনীর হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন। কিন্তু সেখানেও হাসেনি তার ব্যাট! ১৯ বলের লড়াইয়ে করতে পেরেছেন মাত্র ৫ রান।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে টস জিতে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর মিডল অর্ডারে আকবর আলী ৫৫ ও শেখ মেহরাব হোসেনের অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংসে ভর করে শাইনপুকুর কোনওরকমে ১৬৯ রান তুলতে পেরেছে। আবাহনীর সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। সাইফউদ্দিন, রাকিবুল হাসান ও তানভীল ইসলাম নিয়েছেন একটি করে উইকেট। 

আবাহনী পায় ১৭০ রানের লক্ষ্য। তখন সবার চোখ ছিল লিটন দাসের দিকে। কেমন ব্যাটিং করেন সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিলেন অনেকে। কিন্তু সবাইকে অবাক করে লিটন নামেন তিন নম্বরে। যদিও লিটনের ব্যাটিং দেখার অপেক্ষাটা খুব বেশি দীর্ঘায়িত হয়নি। সপ্তম ওভারে আবাহনীর সাব্বির হোসেন (১৫) আউট হওয়ার পর ক্রিজে নামেন তিনি। ১৯ বল সংগ্রাম করে ক্রিজে টিকতে পেরেছেন। ৫ রান করেই ফিরে গেছেন সাজঘরে। এর আগে তাড়াহুড়ো করে আবাহনীতে যোগ দিয়ে প্রথম দিনেই তাকে ফিল্ডিংয়ে দেখা যায় উইকেটকিপারের ভূমিকায়। মাথায় আবাহনীর বদলে ছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের লোগো সম্বলিত হেলমেট! 

লিটন জাতীয় দলের হয়ে সবশেষ দুই ওয়ানডেতেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। সবশেষ ১০ ইনিংসে তার ব্যাট পায়নি ফিফটির দেখা। সর্বোচ্চ ৪৫ রানের ইনিংসটাও নির্বাচকদের মন ভরাতে পারেনি।

লিটনের আউটের পর মাহমুদুল হাসান জয়কে সঙ্গে নিয়ে নাঈম আরও ৩৭ রান যোগ করে আউট হয়েছেন। ৮৭ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন নাঈম। বাকি পথটা আফিফ ও জয়ের অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটিতে সহজেই পাড়ি দেয় আবাহনী। জয় ৫১ ও আফিফ ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তাদের দৃঢ়তায় ৩৪.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যটা ছুঁয়ে ফেলে ঐতিহ্যবাহীরা। 

শাইনপুকুরের বোলারদের মধ্যে আরাফাত সানি দুটিং এবং মোহাম্মদ ইলিয়াস একটি উইকেট নিয়েছেন।