ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণ জানেন না জাকির

নির্বিষ বোলিং, বিস্মিত করা রিভিউ, বাজে ফিল্ডিংয়ের পর বাজে ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে এক অর্থে ছিটকেই গেছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শনিবার দ্বিতীয় দিনের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে ভালো শুরুর আভাস দিলেও তৃতীয় দিন সকালে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। চট্টগ্রামের ব্যাটিং-বান্ধব উইকেটে শ্রীলঙ্কা যেখানে পেয়েছে ৫৩১ রানের স্কোর, বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে অলআউট ১৭৮ রানে! এমন বাজে ব্যাটিংয়ের কারণ অবশ্য জানেন না বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

রবিবার ম্যাচের তৃতীয় দিন ৫৫ রানে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল শান্তর দল। হাতে উইকেট থাকলেও দিনটি কাজে লাগাতে পারেনি স্বাগতিকরা। দুই সেশন মিলিয়ে ১২৩ রান তুলতেই বাংলাদেশ অলআউট। আজ শেষ সেশনে লঙ্কানদের ১০২ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়াটাই এই টেস্টে বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। কাল চতুর্থদিনে হারটাকে বাংলাদেশ কতটুকু প্রলম্বিত করতে পারে অপেক্ষা শুধু সেটি দেখার। ইতোমধ্যে লঙ্কানরা এগিয়ে ৪৫৫ রানে। কাল কোথায় গিয়ে থামে, সেটি দেখার। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড টেস্টে নেই। স্বাভাবিক ভাবেই চট্টগ্রাম টেস্ট থেকে ছিটকে গেছে শান্তর দল।

দিন শেষে এমন ব্যাটিংয়ের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি একমাত্র হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া জাকির হাসান। প্রথম ইনিংসে ৫৪ রানের ইনিংস খেলা জাকির বলেছেন, ‘আসলে কারণটা আর কী বলবো আমরা পুরোপুরি ফেল করেছি। আমরা কেউ যোগ্যতা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারি নাই। আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের যে রোলটা ছিল, ওই রোলটাও আমরা পালন করতে পারি নাই।’ 

ব্যাটিংয়ে নামার আগে বাংলাদেশের পরিকল্পনা কী থাকে এমন প্রশ্নে জাকির বলেছেন, ‘ওটা তো পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। ধরেন এমন হতে পারে যে লাস্টের দিকে নাইট ওয়াচম্যান নামলে বা বোলার ব্যাটিং করছে তখন হয়তো বোলারকে সেফ করে ব্যাটিং করা। অ্যাকচুয়ালি ওটা আসলে পরের কাজ। কিন্তু আমরা তো আমাদের যে কাজটা করার সেটা করতে পারিনি।’

যদিও জাকির বললেন চট্টগ্রামে অতিরিক্ত বাতাসের কারণেই তাদের ব্যাটিংয়ে সমস্যা হয়েছে, ‘আজকে বেশি বাতাস থাকার কারণে অনেক উইকেটে পড়েছে। তাছাড়া সবই ঠিক ছিল। উইকেট ওয়াইজ সবই ভালো ছিল। কিন্তু এটা আসলে অজুহাত হয়ে যায়। চট্টগ্রামের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে আমাদের ভালো খেলা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা কেউই পারিনি।’