হ্যাটট্রিকের পর ফারিহা জানালেন, ‘দল সবার আগে’

অভিষেকে হ্যাটট্রিক করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছিলেন ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা। নিজের সপ্তম ম্যাচ খেলতে এসে আরও একটি হ্যাটট্রিকের কীর্তি গড়লেন তিনি। আগের হ্যাটট্রিকটি মালয়শিয়ার বিপক্ষে হলেও এবারেরটি নম্বর ওয়ান দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই হ্যাটট্রিকে বিশ্বের তৃতীয় বোলার হিসেবে দুটি হ্যাটট্রিকের গর্বিত মালিক এখন ফারিহা।

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার এলিসা পেরি, সোফি মলিনেক্স ও বেথ মুনিকে আউট করে হ্যাটট্রিক করেছেন বাঁহাতি এই পেসার। ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ১৯ রান খরচায় ৪ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত সাফল্য পেলেও দলকে জেতাতে পারেননি যদিও। ৫৮ রানের বড় হারে এক ম্যাচ আগেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। এমন হারের পর ফারিহার এই সাফল্য স্বাভাবিক ভাবেই ম্লান হয়ে গেছে।

বেশ কিছুদিন ধরে ফারিহা ব্যাক পেইনে ভুগছিলেন। এই কারণে আগের ম্যাচগুলোতে মাঠেও নামা হয়নি। মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেই বিশ্বের তৃতীয় বোলার হিসেবে দুটি হ্যাটট্রিক করার কৃতিত্ব দেখিয়েছেন। এমন পারফরম্যান্সের পরও মন খারাপ নিয়েই সংবাদ সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন ফারিহা, ‘প্রত্যাশা ছিল ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। অনেক দিন পর টি-টোয়েন্টি দলে ফিরলাম। ভালো কিছু করার, দলকে কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেছি।  আফসোস তো অবশ্যই আছে। দলের অর্জন বড় হলেই নিজের অর্জনের আনন্দটা বেশি হয়। দল জিতলে এ আনন্দটা হয়তো আরও ভালোভাবে উদযাপন করা যেত। দলই সবার আগে।’

চোটের সময়ের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে ফারিহা বলেছেন, ‘কিছুটা কঠিন ছিল। চোটটা গভীরই ছিল। সেখান থেকে সব কিছু মেইনটেইন করে ফিরে আসতে সময় লেগেছে একটু। আমি আমার প্রক্রিয়া অনুযায়ী যাচ্ছিলাম। সুযোগ পেলে সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবো, এটাই ইচ্ছা ছিল। ‘

সাম্প্রতিক সময়ে একজন পেসার নিয়েই বাংলাদেশ মাঠে নামছে। স্বাভাবিক ভাবেই মারুফ আক্তার দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে খেলছেন। ফলে অন্য কেউ খুব বেশি সুযোগ পাচ্ছে না। তবে মঙ্গলবার দুই পেসার নিয়ে মাঠে নামে তারা। মারুফার সঙ্গে দলে যুক্ত হন ফারিহা। তরুণ বাঁহাতি এই পেসার জানালেন কারও সঙ্গে প্রতিযোগিতার কিছু দেখেন না তিনি, ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতা বলতে কিছু নেই। মারুফা ওয়ার্ল্ড ক্লাস বোলার। ও ওর জায়গাতে বেস্ট। হয়তো বিকল্প ভাবা কঠিন। কারণ ওর সুইং সবকিছুই বেস্ট। আমার চিন্তা ছিল শুধু ভালো করার চেষ্টা করবো। টিম কম্বিনেশনের ওপরই নির্ভর করে—কয়টা পেসার খেলবে। আমরা চেষ্টা করছি ভালো করতে। তাহলে দলে হয়তো পেসারদের সংখ্যা বাড়বে।’

এদিন ভালো শুরুর পরও শেষ অব্দি ১০৩ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। হার নিয়ে ফারিহা বলেছেন, ‘শুরুটা ভালো ছিল। আশাবাদী ছিলাম যে ম্যাচটা ভালোভাবে শেষ করতে পারবো। শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করেছি।’