তাইবুরের বোলিংয়ের পর সোহানের ব্যাটে শেখ জামালের জয়

পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবকে ৫ উইকেটে হারিয়ে আরও একটি জয় তুলে নিয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ফতুল্লায় আগে ব্যাটিং করে শেখ জামালকে ২০৬ রানের লক্ষ্য দেয় পারটেক্স। জবাবে নুরুল হাসান সোহানের অপরাজিত ৭৬ এবং তাইবুর রহমানের অপরাজিত ৩৯ রানে ভর করে ২৪ বল আগেই ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করেছে শেখ জামাল।

ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বাঁহাতি স্পিনার তাইবুর রহমানের ঘূর্ণি ও পেসার শফিকুল ইসলামের কাছে পরাস্ত হয়েছেন পারটেক্সের ব্যাটাররা। ৪৮.২ ওভারে পারটেক্স ২০৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেছেন আহরার আমিন। তাছাড়া তানভীর হায়দার ৩০ ও জিহাদুজ্জামানের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রানের ইনিংস।

শেখ জামালের শফিকুল ৩২ রান খরচায় নেন চারটি উইকেট। বাঁহাতি স্পিনার তাইবুর ১৯ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন।

২০৬ রানের জবাবে দলীয় ২৩ রানে ওপেনার সাইফ হাসানকে (১৭) হারায় শেখ জামাল। দ্বিতীয় উইকেটে ৩২ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন রবিউল ইসলাম রবি (২০)। চতুর্থ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বিও আউট হয়েছেন ১২ রান করে। এর কিছুক্ষণ বাদে দারুণ খেলতে থাকা সৈকত আলী আহরারের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন। ৬১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলেন সৈকত। সৈকতের আউটের পর স্কোরবোর্ডে আরও ৫ রান যোগ হতেই আউট হন ইয়াসির আলী (১)। বাকি পথটা অনায়াসেই পাড়ি দেন নুরুল হাসান ও তাইবুর রহমান। ৬ষ্ঠ উইকেটে দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ১০৫ রানের জুটিতে দাঁড়িয়ে ৪৬ ওভারে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে শেখ জামাল। বোলিংয়ে ৩ উইকেট নেওয়ার পর ব্যাটিংয়ে আলো ছড়িয়েছেন তাইবুর। ৬৩ বলে ৫ চারে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তাইবুর। অন্যদিকে সোহান ৭৫ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কায় ৭৬ রানে অপরাজিত থেকেছেন। ব্যাট ও বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হন তাইবুর।

পারটেক্সের বোলারদের মধ্যে আহরার সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মুক্তার আলী ও তানভীর হায়দার।

৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুই নম্বরে অবস্থান শেখ জামালের। অন্যদিকে ৯ ম্যাচে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে এগারো নম্বরে পারটেক্সের অবস্থান। এদিকে, দশ ম্যাচের দশটি জিতে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে আবাহনী।