শান্ত-নাঈমের সেঞ্চুরিতে আবাহনীর দশে দশ

এক ম্যাচে তিন সেঞ্চুরি। আবাহনীর নাঈম শেখ ও নাজমুল হোসেন শান্তর পর প্রাইম ব্যাংকের মুশফিকুর রহিমও সেঞ্চুরি পেয়েছেন। আগের দুইজনের সেঞ্চুরিতে আবাহনী ৩৪২ রানের বিশাল লক্ষ্য দেয় প্রাইম ব্যাংককে। কঠিন লক্ষ্যে খেলতে নেমে মুশফিক সেঞ্চুরি পেলেও প্রাইম ব্যাংক জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি। ৪৯.৪ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রানে থেমেছে তারা। ফলে ৫৮ রানের জয়ে আরও একবার অপরাজিত আবাহনী। দশ ম্যাচ দশ জয়ে ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষেই ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির অবস্থান।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের তুলোধুনো করে আবাহনী ৩৪১ রানের পাহাড় গড়ে। জবাবে শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার তামিমকে হারায় প্রাইম ব্যাংক। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৭ বলে ১ রান করে আউট হন দলটির অধিনায়ক। এরপর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় শিরোপা প্রত্যাশীরা। ৪৩ রানে তিন উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে পারভেজ হোসেন ঈমন ও মুশফিকুর রহিম প্রতিরোধ গড়েন। ৮৩ রানের জুটি হতেই হাফসেঞ্চুরি ছুঁয়ে আউট হন ঈমন। ৭০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস সাজান তিনি।

সঙ্গীকে হারিয়ে একপ্রান্ত আগলে রেখে ইনিংসটাকে এগিয়ে নিতে থাকেন মুশফিক। চলতি লিগে প্রথমবার ব্যাট হাতে মাঠে নেমে তুলে নিয়েছেন সেঞ্চুরি। মুশফিককে একাই লড়াই করতে হয়েছে। টপ অর্ডারের ব্যাটিং ব্যর্থতার পর মুশফিকের লড়াইও কাজ করেনি। প্রাইম ব্যাংক ৪৯.৪ ওভারে ২৮৩ রানে অলআউট হয়েছে। যদিও এত রান হতো না, নবম উইকেটে মুশফিক ও হাসান মিলে গড়েন ৪৬ রানের জুটি। হাসান খেলেন ঝড়ো ইনিংস। ২৪ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলে আউট হন হাসান। মুশফিক শেষ অব্দি ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন। ১০৫ বলে ১৪ চারে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নিজের ইনিংসটি সাজিয়েছেন।

আবাহনীর বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। তাসকিন ১০ ওভার বোলিং করলেও শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে পারেননি। ক্যাচ ধরতে গিয়ে হাঁটুতে টান লাগে তার। যদিও এই ইনজুরি সিরিয়াস কিছু নয়।  এর বাইরে মোসাদ্দেক দুটি এবং আফিফ ও শান্ত একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস জিতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। রান আউট হওয়ার আগে নাঈম শেখকে সঙ্গে নিয়ে এনামুল হক বিজয় গড়েন ১১০ রানের জুটি। ৭৩ রানে ৪৫ রানের স্লো ইনিংস খেলে আউট হন বিজয়। দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম ও নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে আরও ৮৯ রানের জুটি গড়েন। ততক্ষণে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের দশম সেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেন নাঈম। ১০৪ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ১০৫ রানের ইনিংস খেলেছেন। নাঈমের বিদায়ের পর তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শান্ত ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন। তাদের ১২৩ রানের জুটির ওপর দাঁড়িয়েই আবাহনী ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪১ রান তুলেছে।

হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৮৫ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১১৮ রানের ইনিংস খেলেন আবাহনীর অধিনায়ক। শান্তর বিদায়ের পর আফিফ রানের খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহীদ। ৩৫ বলে ২ চার ও ৪ ছক্কায় তিনি নিজের ইনিংসটি সাজান।

প্রাইম ব্যাংকের বোলারদের মধ্যে হাসান মাহমুদ দুটি এবং রেজাউর রহমান রাজা একটি উইকেট নেন।