নাহিদের আগুন বোলিংয়ে হারলো মোহামেডান

তরুণ পেসার নাহিদ রানার গতির কাছে পরাস্ত হয়ে ২২৭ রানে থামে মোহামেডান। মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সহজ জয়ের পথেই ছিল শাইনপুকুর। তবে হুট করে নামা বৃষ্টিতে তাদের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১৫৮ রানের। এই লক্ষ্য ২৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ছুঁয়ে ফেলে দলটি। প্রথমবার ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন তরুণ এই পেসার।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। কিন্তু শুরুতেই টপ অর্ডার দুই ব্যাটারকে হারিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। রনি তালুকদার ৪ এবং মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন রানের খাতা না খুলেই আউট হন। এরপর তৃতীয় উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ইমরুল কায়েস গড়েন ৭০ রানের জুটি। ৭৩ বলে ৫৬ রান করে হাসান মুরাদের বলে ইমরুল আউট হতেই জুটি ভাঙে তাদের। এরপর দ্রুত চার উইকেট হারায় মোহামেডান। 

২৮ রানে চার উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন আরিফুল ইসলাম ও আবু হায়দার রনি। সপ্তম উইকেটে এই দুইজন মিলে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। আরিফুল ৫৮ বলে ৩০ রান করে আউট হলেও রনি পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। ৫৫ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৫১ রানে আউট হন এই পেস বোলিং অলরাউন্ডার। এই দুজনের ব্যাটেই মূলত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। 

মোহামেডানকে ধসিয়ে দেওয়ার নায়ক তরুণ পেসার নাহিদ। সর্বশেষ লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক হয়েছিল ২১ বছর বয়সী এই পেসারের। মোহামেডানের ৫ ব্যাটারকে ফিরিয়ে শাইনপুকুরের জয়ের নায়ক রানা। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথমবারের মতো পাঁচ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আজকে ৪৫ রানে নেন ৫টি উইকেট। আগের ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ৫৪ রানে পেয়েছিলেন ৪ উইকেট। ফলে চলতি আসরে স্রেফ দুই ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট তার নামের পাশে। এছাড়া হাসান মুরাদ দুটি এবং রবিউল হক ও রিশাদ হোসেন নেন একটি করে উইকেট।

২২৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বৃষ্টির বাঁধায় ঘণ্টাখানেক খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টি আইনে শাইনপুকুরের নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩০ ওভারে ১৫৮। ততক্ষণে জয়ের অনেকটাই কাছে শাইনপুকুর। শেষ পর্যন্ত ২৭.৪ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে দলটি। তানজিদ হাসান তামিমের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৩৬ রানের ইনিংস আসে। এছাড়া মার্শাল আইয়ুব ৩০ ও জিসান আলমের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রানের ইনিংস। অধিনায়ক আকবর আলী ২৭ ও ইরফান শুক্কুর ১১ রানে অপরাজিত থাকেন।

মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে আবু হায়দার রনি, নাঈম হাসান ও মাহমুদউল্লাহ একটি করে উইকেট নিয়েছেন।

এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এসেছে শাইনপুকুর। পাশাপাশি সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে তারা। এদিনে সমান ১৪ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের অবস্থান চারে। কাগজে কলমে মোহামেডানের সুপার লিগ নিশ্চিত না হলেও এক পা দিয়ে রেখেছে ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবটি।