মোহামেডানের এখন একটাই লক্ষ্য, রানার্সআপ হওয়া

দেশের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। লম্বা সময় ধরে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের শিরোপার দেখেনি দলটি। আগের আসরে সাকিব আল হাসানকে ভিড়িয়েও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এবার মাঝারি মানের দল গড়ে কিছুটা সাফল্য পেলেও ইতোমধ্যেই শিরোপা হাতছাড়া করেছে দলটি। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সুপার লিগ। পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকা মোহামেডানের এখন একটাই লক্ষ্য, রানার্সআপ হওয়া। মোহামেডনের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস এমনটাই জানিয়েছেন।

শিরোপার রেস থেকে ছিটকে গেলেও চলতি মৌসুমে মোহামেডানের পারফরম্যান্স একেবারে খারাপ ছিল না। টপ অর্ডার ব্যাটাররা কিছুটা পারফরম্যান্স করতে পারলেই মোহামেডানের সমর্থকদের দীর্ঘদিনের আক্ষেপ দূর করা সম্ভব হতো। তবে আক্ষেপ ভুলে তাদের অধিনায়ক সামনে তাকিয়ে। সোমবার প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সুপার লিগ শুরু হবে মোহামেডানের। গ্রুপ পর্বে ১১ ম্যাচে ৮ জয়ে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে দলটি। আবাহনী ১১ ম্যাচে সবকটিতে জিতে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপার খুব কাছেই। এই অবস্থায় আবাহনীকে টপকানো বেশ কঠিনই মোহামেডানের জন্য। 

বাস্তবতা মেনেই হয়তো অধিনায়ক ইমরুলের একমাত্র লক্ষ্য এখন রানার্সআপ হওয়া। বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সেটাই জানিয়েছেন, ‘আমাদের এখন লক্ষ্য রানার্সআপ হওয়া। আবাহনী তো প্রায় চ্যাম্পিয়ন হয়েই গেছে। হয়তো দুটি ম্যাচ জিততে হবে। আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে চারটা ম্যাচ জেতা লাগবে। কাজটা কঠিন, তবে অসম্ভব নয়। রানার্সআপ হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই কাল মাঠে নামবো।’

গ্রুপ পর্বের ১১ ম্যাচের মধ্যে মোহামেডান তিনটি ম্যাচ হেরেছে। শক্তিশালী আবাহনী ছাড়াও শাইনপুকুর ও গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে হারতে হয়েছে দলটিকে। কাগজে-কলমে শক্তিশালী দল আবাহনীর বিপক্ষে হারটা মেনে নেওয়া গেলেও শাইনপুকুর ও গাজী গ্রুপের কাছে হার মানতে পারছেন না মোহামেডানের সমর্থকরা।  ইমরুলও স্বীকার করে নিলেন টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতার কিছুটা প্রভাব পড়েছে পয়েন্ট টেবিলে, ‘এটা সত্যি আমাদের টপ অর্ডার নিয়মিত রান করতে পারছে না। যেহেতু আমাদের ব্যাকআপ শক্তিশালী নয়, যার কারণে কাউকে পরিবর্তন করার সুযোগও ছিল না। আরিফুল জুনিয়র ছেলেটা আমাদের ইনজুরিতে পড়েছিল, তার রিপ্লেসমেন্ট কিন্তু আমরা পাইনি ওই সময়। এছাড়া যারা কিছুটা অফফর্মে আছে, তাদের বদলেও আসলে কাউকে সেভাবে দেখার সুযোগ হয়নি আমাদের। এসব কারণে গ্রুপ পর্বে বেশ কয়েকটি ম্যাচে আমাদের সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে।’  

চ্যাম্পিয়নশিপের দৌঁড়ে থাকা আবাহনীর সঙ্গে কোনোভাবেই মোহামেডানের তুলনা চলে না বলে মনে করেন ইমরুল, ‘কাগজে-কলমে আবাহনী কিন্তু অনেক শক্তিশালী দল। ওদের ধারে কাছেও আমরা নেই। ওদের ব্যাকআপ প্লেয়ারও বেশ শক্তিশালী। প্রতিটি বিভাগেও ওদের ব্যাকআপ প্লেয়ার আছে।  আমাদের এই ব্যাপারটা নেই। অভিজ্ঞতার দিক থেকে মিরাজ, আমি, রিয়াদ ভাই, রনি, অঙ্কনও ছিলাম। আমরা কেউই খারাপ না। তবে ওভারঅল যদি চিন্তা করেন আবাহনীর সঙ্গে আমাদের কোনোভাবেই তুলনা চলে না, পেমেন্ট কিংবা পেপার্স কোনোদিক দিয়েই না।’