সমীকরণ একেবারেই সহজ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টিকে থাকতে শ্রীলঙ্কাকে গ্রুপের বাকি দুটি ম্যাচই জিততে হবে। সেটাও যথেষ্ট হবে না যদি বাংলাদেশ আর কোনও ম্যাচ না হারে। এবারের টুর্নামেন্টে বাজে শুরুর খেসারত দিতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কাকে। দুই ম্যাচে দুটি হার দেখেছে তারা। আহত লঙ্কানরা আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় নেপালের মুখোমুখি হবে।
প্রথম জয় পেতে শ্রীলঙ্কাকে প্রত্যেক বিভাগেই উন্নতি করতে হবে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তারা হেরেছে বিবর্ণ ব্যাটিংয়ের কারণে। যদিও কন্ডিশন ব্যাটিং বান্ধব ছিল না। বাংলাদেশের বিপক্ষেও ভুগেছে শ্রীলঙ্কা। ১৪ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রান করা দলটি মাত্র ১২৪ রানে গুটিয়ে যায়।
এই আসরের অন্যতম দুর্বল দল নেপালের বিপক্ষে সেই হতাশা কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্য শ্রীলঙ্কার। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ১০৬ রানে অলআউট হওয়া দলটিকে যে লঙ্কান বোলিং আক্রমণের সামনে ভুগতে হবে, তা ধারণা করা যায়। মাথিশা পাথিরানা ও নুয়ান থুশারার মতো বোলারদের মোকাবিলা করা খুব কঠিন হবে নেপালি ব্যাটারদের জন্য। তবে এই আসরে কোনও কিছুর নিশ্চয়তা নেই। আত্মবিশ্বাসী নেপাল প্রথমবার শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয়ে ঘটিয়ে দিতে পারে অঘটন।
তবে নেপালের চেয়ে শ্রীলঙ্কার জন্য বড় বাধা বৃষ্টির পূর্বাভাস। এই আসরে প্রথমবার ম্যাচ আয়োজন করতে যাচ্ছে ফ্লোরিডার লডারহিল। বুধবার ম্যাচের সময় বৃষ্টির প্রবল সম্ভাবনা। তাতে করে এই ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিদায় নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
এই লডারহিলে শ্রীলঙ্কা সবশেষ দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি খেলেছিল ২০১০ সালে, ওই সিরিজে খেলা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজই কেবল আছেন এবারের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে।