বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ

এক যুগ পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)- এর সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। বুধবার বিসিবির নতুন সভাপতি করা হয়েছে ফারুক আহমেদকে।

সচিবালয় থেকে এক পরিচালক বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নাজমুল হাসান পাপনের পদত্যাগের পর, পরিচালকরা নতুন করে বোর্ড সভাপতি নির্বাচন করেন। সেখানে সাবেক ক্রিকেটার ও প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদকে বোর্ড সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।’

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি)  দুই কাউন্সিলর ছিলেন জালাল ইউনুস ও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি। এই দুইজনকে এনএসসি থেকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। দুইজনের মধ্যে জালাল ইউনুস ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। আহমেদ সাজ্জাদুল আলম এখনও পদত্যাগ করেননি। জালাল ইউনুসের জায়গাতেই মূলত ফারুক আহমেদকে মনোনীত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। মনোনীত হওয়ার পর উপস্থিত পরিচালকদের সিদ্ধান্তক্রমে বিসিবির নতুন সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক এই ক্রিকেটার। 

বুধবার বেলা ১১টায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে বিসিবির বোর্ড সভা শুরু হয়। নব নির্বাচিত সভাপতি ফারুক আহমেদ বুধবার সকালে বোর্ড সভায় অংশ নিতে মন্ত্রণালয়ে আসেন। সঙ্গে ছিলেন নাজমুল আবেদীন ফাহিমও। এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন পরিচালক ইনাম আহমেদ, মাহবুব আনাম, ইফতেখার আহমেদ মিঠুকেও দেখা গেছে। পুরোনো পরিচালকদের মধ্যে আরও ছিলেন আকরাম খান, সাইফুল আলম স্বপন, ফাহিম সিনহা, খালেদ মাহমুদ সুজন ও সালাউদ্দিন চৌধুরী। বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভায় পরিচালক সদস্যদের অন্তত ৯ জন উপস্থিত থাকতেই হবে। সেই অনুযায়ী ৯ পরিচালকের উপস্থিতিতেই নতুন পরিচালক নির্বাচিত হন সাবেক ক্রিকেটার ফারুক আহমেদ।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক দুই দফা পালন করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব। প্রথম দফায় ২০০৫ থেকে ২০০৭ সালে প্রধান নির্বাচক পদে দায়িত্ব পালনকালে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে মুশফিক, সাকিব, তামিমকে জাতীয় দলে নিয়েছিলেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে সেরা এই তিন ক্রিকেটারের সার্ভিস এখনও পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় দফায় প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন ২০১৪ সালে। তার নির্বাচনে ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেয়েছে সেরা সাফল্য, খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। এরপর দল নির্বাচনে বিসিবির হস্তক্ষেপ এবং দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটির ফর্মূলার তীব্র বিরোধিতা করে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি। এবার সভাপতি হয়ে ফিরলেন আরও ক্ষমতা নিয়ে। হয়তো তার নেতৃত্বেই বদলে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট!