আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচই ছিল এই সংস্করণে তার সর্বশেষ। রবিবার থেকে ভারতের বিপক্ষে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাকে ছাড়া খেলতে নামছে বাংলাদেশ। সাকিব থাকা মানেই একসঙ্গে দুটি প্যাকেজ। স্বাভাবিকভাবেই তাকে ছাড়া একাদশ গঠন করতে গেলে বাড়তি একজন বোলার কিংবা ব্যাটার খেলানোর সুযোগ থাকে না। যদিও তরুণ ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় জানিয়েছেন, সবাই মিলেই সাকিবের অভাব পূরণ করবেন।
আজ শনিবার গোয়ালিয়রে ম্যাচের আগের সংবাদ সম্মেলনে আসেন হৃদয়। সাকিবকে ছাড়া ম্যাচ খেলার চাপ কতখানি, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই আমরা সাকিব ভাইকে মিস করবো। কিন্তু এখান থেকে একদিন না একদিন সবাইকে যেতেই হবে। আশা করি, আমরা সবাই মিলে সাকিব ভাইয়ের শূন্যতা ভালোভাবে পূরণ করবো।’
বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও গতকাল (শুক্রবার) সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটা হলো… অবশ্যই উনি যেহেতু এতদিন ছিলেন, এখন একটু মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে। একাদশ সাজাতে একটু সমস্যা হবে। কারণ, সাকিব ভাই দুই দিক থেকে (ব্যাটিং-বোলিং) ভালো সমন্বয় এনে দিতেন। আমরা মিরাজকে দলে নিয়ে এসেছি। আশা করবো, মিরাজ যেন ওই জায়গাটায় দ্রুত মানিয়ে নেয়।’
ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের সুখস্মৃতির মধ্যে অন্যতম ২০১৯ সালে দিল্লিতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়। যদিও পরের দুই ম্যাচ হেরে সেই সিরিজ হেরে যায় বাংলাদেশ। এবার সেই চ্যালেঞ্জের পুনরাবৃত্তি হবে কি না, এমন প্রশ্নে হৃদয়ের জবাব, ‘আগে কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবছি না। আমরা এখানে ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
গোয়ালিয়রের নবনির্মিত সিন্ধিয়া স্টেডিয়াম নিয়ে হৃদয় বলেছেন, ‘আমরা জানতাম এখানে ঘরোয়া লিগে দুইশর ওপর রান হয়েছে। তবে ঘরোয়া ম্যাচ আর আন্তর্জাতিক ম্যাচ এক নয়। আমার মনে হয়েছে, পাশের উইকেটে খেলে বোঝা গেছে যে এখনকার উইকেট কিছুটা স্লো। আমরা ম্যাচের উইকেটের চরিত্র অনুযায়ী মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো এবং দলীয় পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলবো।’
গত দুই বছর ধরে টি-টোয়েন্টিতে নিয়মিত খেললেও ধারাবহিকভাবে পারফরম্যান্স করতে পারছেন না হৃদয়। তরুণ এই ব্যাটার জানালেন, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ চাপবিহীন খেলবেন তিনি, ‘চাপ তো সব সময় থাকেই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কম-বেশি থাকেই। যদি সেটা মাথায় থাকে, তাহলে তো পারফর্ম করা যাবে না। আমাদের সব সময় ফোকাস থাকে প্রক্রিয়ার দিকে। কীভাবে আমরা পারফর্ম করতে পারবো, সেই চেষ্টা করি।’