হায়দরাবাদে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। চার-ছক্কার ঝড় বইয়ে বাংলাদেশের বোলারদের লজ্জায় ডুবিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারত তুলে নেয় রেকর্ড ৫ উইকেটে ২৯৭ রান। টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে অবশ্য এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এদিন শুরু থেকেই মারমুখি ছিলেন ভারতীয় ব্যাটাররা। সাঞ্জু স্যামসন ৪০ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। ১১ চার ও ৮ ছক্কায় ১১১ রানে থামে তিনি। মোস্তাফিজ স্যামসনকে ফেরালে ভাঙে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৩ রানের জুটি। নিজের প্রথম ওভারে ১৬ রান দেওয়া রিশাদ হোসেন আক্রমণে এসে প্রথম বলেই ডট। পরের পাঁচটি বল ভুলে যেতে চাইবেন তিনি। টানা পাঁচ ছক্কায় ৩০ রান দিয়ে শেষ হলো রিশাদের ওভার।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রিশাদের আগেও ৩০ দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসান নিজেই এমন উদারতা দেখিয়েছেন দুবার। ২০১৯ সালে জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল সাকিবের এক ওভারে ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ৩০ রান তুলেছিলেন। দুই বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ড্যান ক্রিস্টিয়ানকে ৩০ রান দেন বাঁহাতি এই স্পিনার। তবে বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ করা বোলার হচ্ছেন নাসুম আহমেদ। ২০২২ সালে জিম্বাবুয়ের বার্ল ৩৪ রান নেন নাসুমের বলে।
শনিবার রোষানলে পড়েছিলেন রিশাদ। তার করা ২ ওভারে ভারতীয় ব্যাটারার তুলে নেন ৪৬ রান। তিন উইকেট নিলেও সবচেয়ে বেশি খরুচে ছিলেন তানজিদ হাসান তামিম। ৪ ওভারে তার খরচ ৬৬ রান। মোস্তাফিজ ৪ ওভারে ৫২, তাসকিন ৪ ওভারে ৫১ এবং শেখ মেহেদী ৪ ওভারে খরচ করেন ৪৫ রান। বোলাদের ছন্নছাড়া বোলিংয়ের সুযোগ নিয়ে ভারতীয় ব্যাটাররা তান্ডব চালান। আর তাতেই তাদের স্কোরবোর্ড ফুলেফেঁপে উঠে।
বাংলাদেশকে লজ্জায় ডুবিয়ে এদিন ভারত ২৯৭ রান করেছে ৬ উইকেটে। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আফগানিস্তান করেছিল ২৭৮ রান। সেটাকে পেছনে ফেলে ভারত আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে করলো ২৯৫ রান। অল্পের জন্য ২০২৩ এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের করা ৩১৪ রানের রেকর্ড ভাঙতে পারেনি ভারত।
ভারতের এই সংগ্রহে সবচেয়ে বড় অবদান স্যামসনের। ৪০ বলে টি-টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি! ভারতের হয়ে এই ফরম্যাটে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান। ৩৫ বলে ৭৫ রান করে সূর্যকুমার যাদব। রিয়ান পরাগ করেন ১৩ বলে ৩৪। তার ইনিংসে ছিল ৪টি ছক্কা। চারটি করে চার ও ছক্কায় ১৮ বলে ৪৭ রান করে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া।