জিততে চট্টগ্রামের দরকার ৮৬ রান, খুলনার ৩ উইকেট

জাতীয় ক্রিকেট লিগে শেষ দিনে রোমাঞ্চ ছড়ানোর অপেক্ষাতে চট্টগ্রাম ও খুলনা বিভাগ। চট্টগ্রামের জিততে প্রয়োজন ৮৬ রান। অন্যদিকে খুলনার প্রয়োজন তিন উইকেট। পরিস্থিতি বিবেচনায় অবশ্য এগিয়ে খুলনাই।

সিলেট একাডেমি মাঠে চট্টগ্রামের স্পিনার নাঈম হাসানের বোলিংয়ে ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে খুলনা বিভাগ। ব্যাকফুটে থাকা দলকে ম্যাচে ফিরিয়েছেন খুলনার পেসার মেহেদী হাসান রানা। তার দারুণ বোলিংয়ে চট্টগ্রাম ২২০ রানে অলআউট হয়েছে। ১৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা এক উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল ৫৬ রানে। তৃতীয় দিন অবশ্য বাকি ৯ উইকেট নিয়ে করতে পেরেছে ১৬৩ রান। সবমিলিয়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ২১৯। সর্বোচ্চ ৭৫ রান আসে এনামুল হক বিজয়ের ব্যাট থেকে। এছাড়া শেখ পারভেজ জীবন ৫২ ও মোহাম্মদ মিঠুন খেলেছেন ৩১ রানের ইনিংস।

চট্টগ্রামের বোলারদের মধ্যে এনামুল হক আশিক সর্বোচ্চ চারটি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া আশরাফুল হাসান তিনটি এবং আহমেদ শরিফ নেন দুটি উইকেট।

শেষ সেশনে ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চট্টগ্রাম আল আমিন হোসেনের বোলিং তোপে পড়ে। ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৮ রান। জয় থেকে এখনো ৮৬ রান দূরে আছে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের বাকি তিন উইকেটের সবাই টেলএন্ডার। সবমিলিয়ে তাই শেষ দিনের প্রথম সেশনে কঠিন সংগ্রামের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। আশরাফুল হাসান ২৮ ও আহমেদ শরিফ ৫ রানে অপরাজিত আছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে চট্টগ্রামের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে। 

খুলনার হয়ে আল আমিন ৫৫ রানে নেন চারটি উইকেট। এছাড়া মাসুম খান দুটি এবং মেহেদী হাসান রানা নেন একটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চট্টগ্রামের বোলারদের বিপক্ষে একাই লড়াই করেছেন অমিত মজুমদার। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৫ রানের ইনিংস। খুলনার ব্যাটিং লাইনআপকে গুঁড়িয়ে দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখেন নাঈম। এই স্পিনার ৪৮ রানে নেন ৫টি উইকেট। এছাড়া আশরাফুল হাসান নেন তিনটি উইকেট। শেষ পর্যন্ত খুলনা ২০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারে। জবাবে খেলতে নেমে চট্টগ্রাম ২২০ রান তোলে।