খালেদের বোলিংয়ে ১৪২ রানে অলআউট বরিশাল

জাতীয় ক্রিকেট লিগে বরিশালের দেওয়া ৩০৪ রানের জবাবে স্বাগতিক সিলেট ৬ উইকেটে ২১৭ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল। ৮৭ রান পিছিয়ে থেকে সোমবার তৃতীয় দিন শুরু করা সিলেট শেষ পর্যন্ত ৩৪২ রানে থেমেছে। তাতে ৩৮ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। ৩৮ রানে পিছিয়ে থেকে বরিশাল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সিলেটের বোলারদের দাপটে ১৪২ রানে অলআউট হয়েছে। তাদের অলআউটের পর পরই দিনের খেলা শেষ হয়ে গেছে। ১০৫ রানের লক্ষ্যে মঙ্গলবার ব্যাটিংয়ে নামবে সিলেট।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগের দিনের তিন হাফ সেঞ্চুরিয়ান অমিত হাসান (৫৬), মুবিন আহমেদ (৫৩) নাসুম আহমেদ (৫৩) রানের পর আজ সোমবার তোফায়েল আহমেদের ৬৪ এবং রেজাউর রহমান রাজার ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে সিলেট ৩৪২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। তাতে করে ৩৮ রানের লিড পায় স্বাগতিক সিলেট। 

বরিশালের বোলারদের মধ্যে রুয়েল মিয়া নেন সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট। এছাড়া সোহাগ গাজী নেন দুটি উইকেট।

৩৮ রানে পিছিয়ে থেকে বরিশাল তাদের দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। খালেদ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদের বোলিং তোপে ১৪২ রানে অলআউট হয় বরিশাল। তাতে করে ১০৫ রানের মামুলি লক্ষ্য দিতে পেরেছে তারা। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন সোহাগ। এছাড়া মঈন খানের ব্যাট থেকে আসে ৩২ রানের ইনিংস। অথচ এরা কেউই দলের বিশেষজ্ঞ ব্যাটার নন।

জাতীয় দলের পেসার খালেদ সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নিয়েছেন। তিনটি উইকটে নেন তোফায়েল। নাসুম দুটি ও এবাদত নেন একটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশাল ৩০৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। সর্বোচ্চ ৭৮ রান আসে আব্দুল মজিদের ব্যাট থেকে। সিলেটের বোলারদের মধ্যে রেজাউর রহমান রাজা সর্বোচ্চ পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। অনেকদিন পর খেলতে নামা এবাদত হোসেন নেন দুটি উইকেট।

এদিকে, কক্সবাজার একাডেমি মাঠে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নাঈম শেখের ক্যারিয়ার সেরা ১৮০ রানের কল্যাণে ৪৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ঢাকা মেট্রো। জবাবে রংপুর ৯ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ২৫৩ রান। বৃষ্টির কারণে তৃতীয় দিনের পুরো সময়টাতে খেলা মাঠে গড়ায়নি। এক উইকেট হাতে থাকলেও তৃতীয় দিন শেষে ২২২ রানে পিছিয়ে রংপুর। নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস।

ঢাকা মেট্রোর বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান ও আনিসুল ইসলাম প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। দুটি উইকেট নেন আরিফ আহমেদ।