চট্টগ্রামকে ৫৮ রানে হারালো খুলনা, মেহেদীর ৭ উইকেট

জাতীয় ক্রিকেট লিগে শেষ দিনে চট্টগ্রামের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮৬ রান। কিন্তু হাতে থাকা তিন উইকেট নিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি তারা। খুলনার পেসার আল আমিন হোসেনের বোলিং তোপে ১৪৫ রানে অলআউট হলে খুলনা ৫৮ রানের জয় পেয়েছে। যদিও খুলনার এই জয় কোনও কাজেই আসছে না। ইতোমধ্যে ৩৭ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলেছে সিলেট। এদিকে, কক্সবাজারে আরেক ম্যাচে রংপুরের হয়ে অভিষেক ম্যাচে আলো ছড়িয়েছেন মেহেদী হাসান। তরুণ এই পেসার ২৫ রানে ৭ উইকেট নিয়ে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ গুঁড়িয়ে দিয়েছেন।

সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে ২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চট্টগ্রাম আগের দিন ৩০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ১১৮ রান। ম্যাচের চতুর্থ ও শেষদিনে বাংলাদেশের জিততে প্রয়োজন ছিল ৮৬ রান। কিন্তু এদিন আরও ২৭ রান যোগ করেই অলআউট হয়ে যায় চট্টগ্রাম। তারা ১৪৫ রানে অলআউট হওয়ার পর খুলনা জয় পায় ৫৮ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩২ রান আসে ইরফান শুক্কুরের ব্যাট থেকে।

খুলনার হয়ে আগের দিন উইকেট নেওয়া আল আমিন আজকে নেন আরও একটি উইকেট। এছাড়া মেহেদী হাসান রানা তিনটি ও মাসুম খান টুটুল দুটি উইকেট নিয়েছেন। 

এর আগে প্রথম ইনিংসে চট্টগ্রামের স্পিনার নাঈম হাসানের বোলিংয়ে ২০৪ রানে অলআউট হয়েছে খুলনা বিভাগ। ব্যাকফুটে থাকা দলকে ম্যাচে ফেরান খুলনার পেসার মেহেদী হাসান রানা। তার দারুণ বোলিংয়ে চট্টগ্রাম ২২০ রানে অলআউট হয়েছে। ১৬ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে খুলনা ২১৯ রান সংগ্রহ করে। তাতেই ২০৩ রানের লক্ষ্য পায় চট্টগ্রাম।

এদিকে, কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে ঢাকা মেট্রো ও রংপুরের মধ্যকার ম্যাচটি নিষ্প্রাণ ড্রয়ে নিষ্পত্তি হয়েছে। নাঈম শেখের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়ে ঢাকা ৪৭৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায়। জবাবে রংপুর তুলে ৩০১ রান। ১৭৪ রানে এগিয়ে থেকে ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৮ রানে অলআউট হয়েছে। ম্যাচের অবস্থা বিবেচনা করে একটু আগে ভাগেই ম্যাচটি ড্রয়ে নিষ্পত্তি ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি। ঢাকাকে দ্বিতীয় ইনিংসে অল্প রাখে বেঁধে ফেলার মূল নায়ক মেহেদী হাসান। রংপুরের এই পেসারের আজ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে। অভিষেক ম্যাচেই সাত উইকেট নিয়ে আলোড়ন তুলেছেন এই তরুণ।