জাতীয় ক্রিকেট লিগ

আনুষ্ঠানিকতা শেষে ট্রফি পেলো সিলেট, টুর্নামেন্ট সেরা অমিত

জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেট বিভাগ। ৬ষ্ঠ রাউন্ডের পরই সিলেটের শিরোপা নিশ্চিত হয়ে যায়। সপ্তম রাউন্ডের ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতার। আনুষ্ঠানিকতা শেষেই ট্রফি হাতে পেয়েছে। তবে শেষ ম্যাচে জিততে পারেনি সিলেট। রাজশাহীর কাছে ৫৪ রানের ব্যবধানে হেরেছে। 

টুর্নামেন্ট সেরা অমিত।সিলেটকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন অমিত হাসান। ব্যাট হাতে পুরো টুর্নামেন্টেই ধারাবাহিক ভাবে রান করে গেছেন তিনি। মঙ্গলবার শেষ হওয়া জাতীয় লিগে মোট ১২ ইনিংস ব্যাট করে ৭৮৫ রান করেছেন অমিত, যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান। তার ব্যাটিং গড় দুর্দান্ত- ৭৮.৫০, স্ট্রাইকরেট ৪৯.৭৫। অমিতের স্কোরগুলো ছিল যথাক্রমে- ২৮, ৬১, ২৭, ৪৩, ৫৭, ৩৭*, ২১৩, ১০১, ৫৬, ৩৮*, ৫৩, ৭১। এর মাঝে খুলনা বিভাগের বিপক্ষে খেলেছিলেন ২১৩ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস। খেলেছিলেন ৪৫৫ বল, সময় নিয়েছিলেন ৬৩৮ মিনিট। পরের রাউন্ডে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে করেছিলেন সেঞ্চুরি। পুরো টুর্নামেন্টে তিনি ১ হাজার ৫৭৮টি বল খেলেছেন।

মঙ্গলবার শেষ হওয়া জাতীয় লিগের শেষ ম্যাচটিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পাওয়া রাজশাহী ২২৬ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে। সিলেটের সফর আলী ও তোফায়েল আহমেদের বোলিং তোপে ভেঙে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ। তবে রাজশাহীর হয়ে কেবল সাব্বিরই প্রতিরোধ গড়তে পেরেছিলেন। খেলেছেন ১১৬ রানের ইনিংস। 

জবাবে সিলেটও খুব বেশি রান করতে পারেনি। ২১২ রানে থামে তাদের ইনিংস। পিনাক ঘোষের ৫৮ ও অমিত হাসানের ৫৩ রানে ভর করে সিলেট কোন রকমে দুইশো পেরুতে পারে। ১৪ রানে এগিয়ে থেকে রাজশাহী দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং নেমে মাঝারি মানের লক্ষ্য দাঁড় করায়। নিহাদ-উর জামানের ৪৩ ও কুমারের ৪৪ রানে ভর করে রাজশাহী ১৮৬ রান করে। তাতে করে সিলেটের জন্য জয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ হয় ২০১ রানের। 

চতুর্থ ইনিংসে রাজশাহীর দেওয়া এই লক্ষ্যটা অবশ্য খুব সহজ ছিল না। প্রথম ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ ভেঙে দেওয়া নিহাদ দ্বিতীয় ইনিংস নেন পাঁচ উইকেট। তার বোলিংয়েই ১৪৬ রানে থেমে যায় চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস। তাতে ৫৪ রানের জয় পায় রাজশাহী। সিলেটের এই ইনিংসেও দলের ত্রাতা ছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা হওয়া সিলেটের অধিনায়ক অমিত হাসান। ৭১ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। 

রাজশাহীর বোলারদের মধ্যে নিহাদ দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচটি উইকেট নিয়েছেন। সবমিলিয়ে ম্যাচ নিয়েছেন ৯টি উইকেট।