মিরাজের কারণে চাপে মেহেদী!

কয়েকদিন আগেই রংপুর রাইডার্সের হয়ে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলেছেন শেখ মেহেদী হাসান। ওই টুর্নামেন্টে রংপুর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। গায়ানাতে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল সুপার লিগ খেলেই মেহেদী টি-টোয়েন্টি দলে যোগ দেন। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে সাফল্য পেতে গ্লোবাল সুপার লিগ সাহায্য করেছে বলে মনে করেন টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটার। তার মতে, মিরাজের কারণেই চাপে পড়েছেন তিনি। 

শেখ মেহেদী কেবল টি-টোয়েন্টি খেলছেন আপাতত। গত বছর সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছেন। তাও সব মিলিয়ে মাত্র ১১ ম্যাচ। এওনো টেস্ট অভিষেক হয়নি। অন্যদিকে মিরাজ তিন ফরম্যাটই খেলছেন। ব্যাটিংয়ে মেহেদীর চেয়ে বেশি ছাপ রাখছেন তিনি।

নিজের সাথে কীভাবে লড়াই করেছেন, সেটা জানালেন মেহেদী, ‘প্রথমত আমি একটু নিজের সঙ্গে নিজে চাপে ছিলাম। যেহেতু মিরাজ আর আমি একসঙ্গে দলে আছি। দেখা যাচ্ছে কয়েক বছর ধরে মিরাজ যেভাবে ব্যাটিং করছে, অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করছে। আমার জন্য একটা কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেহেতু মিরাজ খুব ভালো ব্যাটিং করে। ওইটা আমার ভেতরে একটু থাকে আর চাপ তো থাকেই, যেহেতু আমি এক ফরম্যাট খেলি। দেখা যাচ্ছে প্রত্যেক মাসে আমার টি-টোয়েন্টি খেলা থাকে না।’

মেহেদী আরও বলেছেন,  ‘আমাকে ফাঁকে ফাঁকে খেলতে হয়। তাতে শেষ দুই-এক বছরে আমি দলে নিয়মিত নই। আমি হয়তবা নিজের সঙ্গে নিজে চ্যালেঞ্জ নিই, আমার তো ভালো করতেই হবে। ওইরকম ভালো করলে হবে না। দেখা যাচ্ছে আমি তো সবদিন এরকম পারফরম্যান্স করতে পারবো না। যেদিন পারফর্ম করতে পারবো, সেদিন যেন সবার চোখে লেগে যায়। এটাই চিন্তা থাকে।’

সেন্ট ভিনসেন্টে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করেছেন মেহেদী। বল হাতে ৮ উইকেট নিয়ে সিরিজের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনিই। এছাড়া ব্যাট হাতেও ছিলেন চমৎকার। প্রথম ম্যাচে তার অপরাজিত ২৬ রানে ভর করে বাংলাদেশ ১৪৭ রানের সংগ্রহ করে জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচে খেলেছেন ১১ রানের ইনিংস। আজকের ম্যাচে অবশ্য রানের খাতা না খুলেই রান আউটের শিকার হয়েছেন। সবমিলিয়ে ৩৭ রান ও ৮ উইকেট নিয়ে হয়েছেন সিরিজ সেরা। 

নিজের ভূমিকা নিয়ে মেহেদী বলেছেন, ‘সিরিজ জিতছি খুব ভালো লাগছে। এখানে আসার আগে এইসব কিছু চিন্তাও করিনি। আমি আগেভাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে এসেছিলাম। গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও চ্যাম্পিয়ন হতে পেরেছি। আমি যেভাবে পারফরম্যান্স করেছি, সবমিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।’

জাতীয় দলে এক বছর পর ফিরেছেন মেহেদী। ২০১৮ সালে কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে অভিষেক হলেও এখনও থিতু হতে পারেননি এই স্পিনিং অলরাউন্ডার। ক্যারিয়ারের ছয় বছর হয়ে গেলেও মেহেদী খেলেছেন মাত্র ৫৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। অবশ্য দলে সুযোগ পাওয়া কিংবা না পাওয়া নিয়ে খুব বেশি ভাবেন না তিনি, ‘আমি অটোমেটিক চয়েজ হয়ে যাবো কিনা, সেটি তো আমার হাতে নেই। আমার হাতে যেটা আছে, তা হলো পারফরম্যান্স করা। নির্বাচন আমার হাতে নেই। আমি চেষ্টা করতে পারি, বাকিটা আল্লাহর ইচ্ছা। নির্বাচন আমার হাতে না, আমার কাজ আমাকে করে যেতে হবে।’