নতুন করে আলোচনায় ক্রিকেটের তিন মোড়ল। টেস্ট ক্রিকেটকে দুই স্তরে ভাগ করার ব্যাপারে আলোচনা চালাচ্ছে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। পরিকল্পনা মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে তারা যেন একে অপরের বিপক্ষে বেশি করে খেলার সুযোগ পেতে পারে। এমন খবর প্রকাশের পর থেকেই নানামুখী প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুইবারের বিশ্বকাপ জয়ী সাবেক অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড তো ভীষণ বিরক্ত এমন আলোচনায়।
তিন মোড়লের সাম্প্রতিক এই পরিকল্পনার খবর নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে সিডনি মর্নিং হেরাল্ড। সেই খবরে বলা হয়েছে, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে আইসিসি চেয়ারম্যান ও ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি জয় শাহ খুব শিগগির অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান গ্রেট ক্লাইভ লয়েড অবশ্য ব্যাপারটা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। তার মতে, এমন সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দলের ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে আনবে। তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় এমন সিদ্ধান্ত ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াবে সেসব দেশগুলোর জন্য, যারা টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক পরিশ্রম করেছে।’
দুই স্তর নিয়ে যে খুব সন্তুষ্ট নন সেটা বোঝা গেছে তার কথায়, ‘এমনটা হলে নিচের সারির দলগুলো নিজেদের মাঝে খেলবে। সেক্ষেত্রে তারা উন্নতি কীভাবে করবে?’
কিছুদিন আগে সাবেক আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে বলেছিলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ক্রিকেটে খেলা উচিত পৃথক দেশ হিসেবে। এমন ধারণার কঠোর সমালোচনা করেছেন লয়েড, ‘দেখুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের একটা ইতিহাস আছে। এখন অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয় দেখে বলা হচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পৃথকভাবে খেলা উচিত। কল্পনা করা যায় তারা এখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এভাবে দেখছে।। এটা কোনও সমাধান হতে পারে না। সমাধান হতে পারে তাদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অন্যান্য দল) সমান পরিমাণ অর্থ দেওয়া। যাতে তারা নিজেদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পারে এবং ভালো কাঠামো দাঁড় করাতে পারে, যার মাধ্যমে ক্রিকেটে উন্নতি করবে।’
এ সময় তিনি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রেরও সমালোচনা করেছেন, ‘চক্রটা মোটেও ভালোভাবে সংগঠিত না।’
টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্রটি দুই বছর মেয়াদী। তাতে অবশ্য ১২টি টেস্ট খেলুড়ে দল অংশ নেয় না। বাদ থাকে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও আয়ারল্যান্ড। আর চক্রে থাকা বাকি ৯ দলও একে অপরের বিপক্ষে খেলার সুযোগ পায় না। লয়েড তাই বলেছেন, ‘এটা মোটেও ভালোভাবে সংগঠিত নয়। আইসিসি ও বোর্ডগুলোর উচিত বসে একটা কাঠামো তৈরি করা। যেখানে শুধু টি-টোয়েন্টি থাকলে হবে না। কারণ লোকজন এখনও টেস্ট ক্রিকেট দেখতে চায়, যতক্ষণ পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক চলে। আমরা সবাই সেই কাঠামোর অংশ হবো।’