ক্ষুদে ভক্তের সঙ্গে লিটনের হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্ত

লিটন দাস তার খারাপ সময়ে কিছু মানুষকে পাশে পেয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ছোট্ট ভক্ত আরুয়া। কেউ না থাকলে এই মেয়েটি জানিয়েছিল, সে একাই তার পাশে থাকবেন। এমন একটি প্ল্যাকার্ড দেখে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি লিটন নিজেও। ক্ষুদে সমর্থকের আনা সেই প্ল্যাকার্ডের ছবি তিনি নিজেই শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। আজ তো সেই আরুয়ার সঙ্গে সময়ও কাটিয়েছেন তিনি।

বিপিএলে টানা ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে গ্যালারি থেকে প্রতিনিয়ত দর্শকদের দুয়োধ্বনি শুনতে হচ্ছিল লিটনকে। গত ১৬ জানুয়ারি বরিশাল ম্যাচে গ্যালারি থেকে দর্শকরা ভুয়া ভুয়া দুয়োধ্বনি দেয়। লিটনকে সমর্থকদের দুয়ো জানানোর ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে খুব দ্রুত। আর ওই ভিডিওতে বাংলাদেশি ব্যাটারের অসহায় প্রতিক্রিয়া আবেগপ্রবণ করেছে দেশের ক্রিকেটের অসংখ্য ভক্তকে। খারাপ সময়ে লিটনের পাশে দাঁড়িয়েছে তার ফ্র্যাঞ্চাইজি ঢাকা ক্যাপিটালসও। এছাড়া আজ ঢাকা-সিলেটের ম্যাচে তাকে সমর্থন দিতে প্ল্যাকার্ড হাতেও দেখা গেছে অনেক সমর্থককে।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার লিটনকে নিয়ে দেখা গেলো এক আবেগঘন দৃশ্য। গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে থাকা এক ছোট্ট শিশুর হাতে ধরা একটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘তোমার যদি কোনও ফ্যান না থাকে, আমি একমাত্র ফ্যান হয়ে তোমার পাশে থাকবো।’

আরুয়ার আনা সেই প্ল্যাকার্ড দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে লিটন তার অফিশিয়াল ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন, 'আমি জানি না আমি ক্রিকেটে কতটুকু কী অর্জন করতে পেরেছি। তবে এই প্ল্যাকার্ডটি আমার আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমার পরিবার ছাড়াও আমার ‘একজন ভক্ত’ আছে জেনে অবিশ্বাস্য মনে হয়। আনায়রা (লিটনের মেয়ে), মনে হচ্ছে তোমার প্রতিযোগী আছে!’ 

গতকাল লিটন সামাজিক মাধ্যমে সেই মুহূর্তটি স্মরণ করেই থেমে থাকেননি। আজ তিনি সরাসরি দেখা করেন তার সেই ছোট্ট ভক্তের সঙ্গে। সেখানে আরুয়া ও তার পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ছোট্ট এই শিশুর সমর্থন তার জীবনের সেরা প্রাপ্তি বালে জানলেন লিটন, ‘এই ভালোবাসা আমার জীবনের অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। কঠিন সময় পার করছিলাম, তখন এই ছোট্ট মেয়েটার সমর্থন আমাকে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। ক্রিকেট শুধু খেলা নয়, এটি ভালোবাসার, প্রেরণার এবং সংযোগের গল্প।’

ছোট শিশু আরুয়ার পরিবারও লিটনের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেয়ে অভিভূত। আরুয়ার মা বলেন, ‘আমার মেয়ে লিটনের বড় ভক্ত। তার পোস্ট দেখে আমরা আবেগাপ্লুত হয়েছিলাম। আজ লিটনের সঙ্গে দেখা করা আমাদের জন্য জীবনের স্মরণীয় দিন হয়ে থাকবে।’