সিলেটকে হারিয়ে প্লে-অফে টিকে রইলো রাজশাহী

দুর্বার রাজশাহীর হ্যাটট্রিক জয়ে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা টিকে রইলো। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে উঠে এসেছে তাসকিন আহমেদের দল। এই মুহূর্তে টেবিলের তিন নম্বরে থাকলেও দলটির প্লে-অফ এখনও নিশ্চিত হয়নি। কেননা রাজশাহীর সাথে রেসে আছে, খুলনা টাইগার্স, চিটাগং কিংস ও ঢাকা ক্যাপিটালস। এই দলগুলোর জয়-পরাজয়ের ওপরই নির্ভর করছে রাজশাহীর ভাগ্য। এই তিনটি দল থেকে দুটি দল প্লে-অফের টিকিট কাটবে।

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ১১৭ রান করে সিলেট। ১১৮ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই ব্যাটিং লাইনআপ ধসে পড়ে রাজশাহীর। ২২ রানে চার উইকেট হারিয়ে হারের পথে বসা দলটিকে ম্যাচে ফেরান আকবর আলী ও রায়ান বার্ল জুটি। দুইজনের ৬৩ বলে ৭৫ রানের জুটিতে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে যায় রাজশাহী। জয় থেকে ২১ রান দূরে থাকতে আকবর আউট হন। ৩৮ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪৩ রানে আউট হন তিনি। এরপর বার্ল ও মেহরাব মিলে জয়ের পথে নিয়ে যান রাজশাহীকে। ১৯ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলে তাসকিনরা। এই জয়ের পর রাজশাহীর প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনা টিকে থাকলো। যদিও খুলনা, চিটাগং ও ঢাকার সমান সুযোগ রয়েছে। এখন অব্দি বরিশাল ও রংপুরের প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে।

সিলেটের বোলারদের মধ্যে জন রাস জাগেসার ও তানজিম হাসান সাকিব প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া আহসান নেন একটি উইকেট।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া সিলেটের শুরুটা ভালো হয়নি। পাওয়ার প্লেতে টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পুরো টুর্নামেন্টে হতাশাজনক পারফরম্যান্স করা সিলেট। ১৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর জাকির হাসান ও জাকের আলী অনিক মিলে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। ৩৯ রানের জুটির পর মেহরাবের বলে সাজঘরে ফেরেন জাকের আলী। তার আগে খেলেন ১৮ বলে ১৭ রানের ইনিংস। এই জুটির পর দ্রুত আরও বেশ কিছু উইকেট হারিয়ে ফেলে একশোর নিচে আউট হওয়ার শঙ্কায় পড়ে যায় সিলেট। তবে নবম উইকেটে হাসান ভাট্টি ও সুমন খান মিলে ২০ বলে ৩৬ রানের জুটি গড়ে সিলেটের স্কোরকে নিয়ে যান ১১৭ রানে। আহসান ২১ বলে ২৫ এবং সুমন ১১ বলে ২০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। জাকিরের ব্যাট থেকে আসে ২৪ রানের ইনিংস।

দুর্বার রাজশাহী হয়ে অফস্পিনার মেহরাব সর্বোচ্চ উইকেট নিয়েছেন। ১৫ রানে তার শিকার চারটি উইকেট। এছাড়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি নিয়েছেন তিনটি উইকেট। আফতাব আলম ও তাসকিন আহমেদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।