পুরান ঝড়ে উড়ে গেলো হায়দরাবাদ

লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে প্রত্যাশিত ঝড় তুলতে পারলো না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। তারা আটকে গেলেন মাত্র ১৯০। আইপিএলে যেভাবে রান উঠছে, তাতে করে লখনউয়ের জন্য এই লক্ষ্যটা মোটেও কঠিন ছিল না। ব্যাটিংয়ে নেমে সেটাই যেন দেখিয়ে দিলো লখনউ। নিকোলাস পুরানের ২৬৯ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং লখনউকে ২৩ বল আগেই ৫ উইকেটের জয় এনে দিয়েছে। তার আগে অবশ্য হায়দরাবাদকে অল্প রানে বেঁধে ফেলার নায়ক ছিলেন শার্দুল ঠাকুর।

বৃহস্পতিবার ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে লখনউ দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায়। এইডেন মারক্রাম ফেরেন ১ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে নিকোলাস পুরান ও মিচেল মার্শ মিলে ঝড় তোলেন। সেই ঝড়েই মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে লখনউয়ের কাছে। ৪৩ বলে ১১৬ রানের জুটির পর সাজঘরে ফেরেন পুরান। তার আগে অবশ্য টর্নেডো ইনিংস খেলে যান তিনি। মাত্র ২৬ বলে ৬ চার ও ৬ ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় এই ব্যাটার। তার কিছুক্ষণ পর অবশ্য মার্শও বিদায় নেন। ৩১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় অজি এই ব্যাটার খেলেন ৫২ রানের ইনিংস। ম্যাচ জিততে হয়তো আরও কিছু বল খেলতে হতো লখনউকে। কিন্তু আব্দুল সামাদের ৮ বলে ২২ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২৩ বল আগেই ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় লখনউ।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) হায়দরাবাদের বোলারদের মধ্যে প্যাট কামিন্স সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি, অ্যাডাম জাম্পা ও প্যাটেল।

received_1337955110787314এর আগে ঘরের মাঠে টসে হেরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় হায়দরাবাদ। শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। দলের ইনফর্ম ব্যাটার অভিষেক শর্মা সাজঘরে ফেরেন তৃতীয় ওভারের প্রথম বলে। থিতু হতে পারেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইশান কিশানও। শার্দুল ঠাকুরের বলে পন্থের হাতে বল তুলে দিয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে থেমে থাকেননি ট্রাভিস হেড। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন নিতীশ কুমার রেড্ডি। এ দুই ব্যাটার গড়েন ৬১ রানের জুটি। শেষদিকে অনিকেত ভর্মার ১৩ বলে ৩৬, হেনরি ক্লাসেনের ১৭ বলে ২৬ এবং পেট কামিন্স ৪ বলে ১৮ রানের উপর দাঁড়িয়ে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান সংগ্রহ করে হায়দরাবাদ।

লখনউর হয়ে ৪টি উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। এছাড়া আভেশ খান, দিগভেস রাঠি, রবি বিষ্ণুই এবং প্রিন্স যাদব নেন একটি করে উইকেট।