৬ বলে ১১ রান প্রয়োজন টাইগারদের

রোহিত শর্মাকে আউট করার পর মুস্তাফিজের উদযাপনভারতের ছুড়ে দেওয়া ১৪৭ রানের জবাবে খেলতে ১৪ ওভারে ৯৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য টাইগারদের প্রয়োজন ১২ বলে ১৭ রান।
ওপেনিংয়ে নেমে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফিরে গেছেন মিথুন আলী। ২.২ ওভারে অশ্বিনের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিথুন (১)। এরপর হাল ধরেন তামিম-সাব্বির। দলীয় ৫৫ রানে আউট হন তামিম। তবে সাজঘরে ফেরার আগে সাব্বিরকে নিয়ে ৫.২ ওভারে ৪৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন তামিম।
জাদেজার বলে স্ট্যাম্পড হওয়ার আগে ৩২ বলে ৩৫ রান করেন তামিম। এরপর দলীয় ৬৯ রানে দুর্ভাগ্যজনক স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন সাব্বির রহমান। আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ২৬ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে নামেন অধিনায়ক মাশরাফি। ৫ বলে একটি ছক্কা মেরে জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

১৫ বলে ২২ রান করে ফিরে যান সাকিবও। ১১.১ ওভারে দলীয় ৯৫ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন ঘটে বাংলাদেশের। ফলে ম্যাচে ফিরে আসে ভারত। 

এর আগে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৬ রান তোলে ভারত। ম্যাচের আগে ভারতীয় অধিনায়ক এমএস ধোনি ঘোষণা দিয়েছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে শুধু জয় নয় রান রেট বাড়িয়ে নিতে চান তারা। বুধবার রাতে টসে হেরে ভারত ব্যাট করতে নামার পর দেখা গেল উল্টো দৃশ্য। টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান পেতে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে ধোনি-যুবরাজ-কোহলিদের। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান করতে সক্ষম হয় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন ১৪৭ রান। টাইগারদের হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ ও আল আমিন।



বুধবার রাতে চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।এদিন ব্যাট করতে নেমে সতর্কতার সঙ্গে শুরু করেন শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। তবে ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে দলীয় ৪২ রানে রোহিত শর্মাকে সাজঘরে ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। সাব্বিরের হাতে ক্যাচ তোলার আগে ১৬ বলে ১৮ রান করেন তিনি।

এরপর আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। সপ্তম ওভারের শেষ বলে শিখর ধাওয়ানকে এলবিডব্লি'র ফাঁদে ফেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ২৩ রান করেন তিনি। এরপর হাল ধরেন বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়না। দলীয় ৯৫ রানের মাথায় শুভাগত হোমের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন কোহলি (২৪)। আউট হওয়ার আগে সুরেশ রায়নাকে নিয়ে ৬.৪ ওভারে ৫০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তিনি।

এরপর জোড়া আঘাত হানেন আল আমিন। ১৫.১ ওভারে সুরেশ রায়নাকে (৩০) সাব্বিরের হাতে ক্যাচে পরিণত করেন তিনি। পরের বলেই হার্দিক পান্ডেকেও সাজঘরে ফেরান তিনি। দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে অবশ্য ওই আউটের ক্রেডিট পেতেই পারেন সৌম্য সরকার।

পরপর দুই উইকেট হারিয়ে ভারতের রানের গতি শ্লথ হয়ে যায়। রানের চাকা সচল রাখতে যখন হাত খুলে মারার প্রয়োজন ছিল সে সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে আল আমিনের হাতে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন যুবরাজ সিং (৩)। ১১৭ রানে ভারতের ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে।শুভাগত হোমের বলে বোল্ড কোহলি

শেষ ওভারটি করতে এসে দারুণ এক ইয়র্কারে জাদেজাকে (১২) বোল্ড করে মুস্তাফিজ। শেষ পর্যন্ত ধোনির অপরাজিত ১৩ রানে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান সংগ্রহ করে ভারত।

গত ম্যাচে না খেললেও এ ম্যাচে আছেন তামিম ইকবাল। তবে গত ম্যাচের দল থেকে বাদ পড়েছেন সাকলাইন সজিব। বাংলাদেশের জন্য এই ম্যাচটি বাঁচা-মরার লড়াই। অন্যদিকে সেমির দৌড়ে টিকে থাকতে হলেও ভারতকেও জিততে হবে এই ম্যাচে। একইসঙ্গে দুই দলকে নজর রাখতে হবে নেট রান রেট বাড়িয়ে নেওয়ার দিকেও।

/এমআর/