দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে জড়িয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির রেশ ক্রিকেটে পড়বে। এতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বিষয়টিকে একদমই উড়িয়ে দিচ্ছে না বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। যদিও এই মুহূর্তে পর্যবেক্ষকের ভূমিকাতেই থাকতে চায় বোর্ড। বিসিবির এক পরিচালক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, এই মুহূর্তে তারা পরিস্থিত পর্যবেক্ষণ করছেন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে তারা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
সাম্প্রতিক ঘটনায় একটি টুর্নামেন্ট ও দুটি সিরিজ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপ এবং বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের সাদা বলের সফর অনিশ্চিত। এর বাইরে চলতি মাসেই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশের। আগামী ১৭ ও ১৯ মে শারজায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ২৫ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা বাংলাদেশের। চলমান পরিস্থিতিতে এই সিরিজের ভাগ্যে কী আছে, আরও কয়েকটি দিন পরই বোঝা যাবে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিসিবির এক পরিচালক বলেছেন, ‘সংঘাতময় পরিস্থিতিতে তো আর ম্যাচ খেলা সম্ভব নয়। তবে এখনও বেশ কিছুদিন হাতে আছে। ঘটনা কোথায় মোড় নেয়, সেগুলো পর্যবেক্ষণ করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে এখনও শিডিউল অনুযায়ী সবকিছুই ঠিক আছে। আনঅফিসিয়ালি অনেকে অনেক কিছু বলতে পারে, কিন্তু আপতত সব কিছুই ঠিকঠাক আছে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে অবশ্যই সিরিজ এবং টুর্নামেন্ট সবকিছুই পরিবর্তন হবে।’
চলতি বছর বাংলাদেশের ব্যস্ত সূচি। আগামী সপ্তাহে আরব আমিরাতের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ। ওখানে দুই ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ চলে যাবে পাকিস্তানে। এই সিরিজের পর শ্রীলঙ্কা সফর করবে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। পাকিস্তান ফিরতি সফরে জুলাই মাসে বাংলাদেশে আসবে, যা এফটিপি সূচির বাইরের একটি সিরিজ এবং এর পরপরই ভারতীয় দলের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা। নিরাপত্তা সংকট তৈরি হলে এইসব কিছুই বদলে যেতে পারে!
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে হঠাৎ করেই পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে মিসাইল হামলা করে ভারত। এরপরই শুরু হয় দুই দেশের মধ্যে সংঘাত। পাকিস্তানও পাল্টা জবাব দেয় তৎক্ষণাত। দুই পক্ষের আক্রমণ ও পাল্টা আক্রমণে উত্তেজনা এখন চরমে। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই সংঘাতে ৪০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে।