টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন রোহিত শর্মা। এবার বিরাট কোহলিও লাল বলের ক্রিকেট ছাড়তে চাচ্ছেন। জুনের ২০ তারিখ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই কোহলি বোর্ডের সঙ্গে এই ব্যাপারে কথা বলেছেন। আসন্ন সিরিজে কোহলিরও থাকার কথা রয়েছে।
জানা গেছে, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে বিগত কয়েক মাস ধরেই এই ব্যাপারে আলোচনা করে যাচ্ছেন তিনি। শেষ পর্যন্ত কোহলি যদি নিজের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন, তাহলে তার১৪ বছর ও ১২৩ টেস্টের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। যেখানে ৬৮ টেস্টে কোহলি ভারতের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন।
অবশ্য কোহলি এমন সময় লাল বলের ক্রিকেট ছাড়তে যাচ্ছেন, যখন তিনি মোটেও ছন্দে নেই। ২০২৩ সালের জুলাইয়ের পর গত বছরের নভেম্বর পার্থে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। গত ২৪ মাস তার গড় ছিল ৩২.৫৬! অথচ সর্বোচ্চ ছন্দে থাকার সময় গড় ছিল ৫৫.১০।
অবশ্য কোহলি না চাইলেও টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকরা মনে করছেন, আসন্ন সফরে তার অভিজ্ঞতা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। যেখানে ভারতের সম্ভাব্য নতুন অধিনায়ক শুবমান গিলের অধীনে টেস্ট খেলার কথা শোনা যাচ্ছে।
রোহিত ছাড়াও আসন্ন সফরে অভিজ্ঞ রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও পাবে না ভারত। কারণ অভিজ্ঞ এই অফস্পিনারও অবসর নিয়েছেন ২০২৪-২৫ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। চেতেশ্বর পূজারা ও আজিঙ্কা রাহানে যেহেতু এই মুহূর্তে দলের ভাবনায় নেই; মোহাম্মদ সামির ফর্মও কাঠগড়ায়। তাই রবিন্দ্র জাদেজা, জসপ্রীত বুমরার পাশাপাশি কোহলি হচ্ছেন অন্যতম সিনিয়র খেলোয়াড়।
রোহিত অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার আগে কোহলির অধীনে ৬৮ ম্যাচে জিতেছে ৪০টি টেস্ট। পরাজয় ছিল মাত্র ১৭টি। আর এই ৪০টি জয় কোহলিকে ভারতের সবচেয়ে সফল টেস্ট অধিনায়কের তকমা পাইয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির অধীনে ৬০ টেস্টে ভারত জিতেছে ২৭টি। তারপরেই স্থান সৌরভ গাঙ্গুলীর- তার অধীনে ভারত ৪৯ ম্যাচে জিতেছে ২১টি।
সার্বিকভাবে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি জয়ের তালিকায় কোহলির অবস্থান অবশ্য চতুর্থ। তার আগে রয়েছেন গ্রায়েম স্মিথ (১০৯ টেস্টে ৫৩ জয়), রিকি পন্টিং (৭৭ টেস্টে ৪৮ জয়) এবং স্টিভ ওয়াহ (৫৭ টেস্টে ৪১ জয়)।