বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনে (বিএসজেএ) পা পড়েছিল দেশের ক্রিকেট বোর্ডের নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের। এদিন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে সভাও করেন তিনি। সেখানে নানান বিষয়ে কথা হয়েছে দুজনের মধ্যে। স্বল্পমেয়াদের জন্য আসলেও বুলবুল দেশের ক্রিকেটের অগ্রগতিতে ছাপ রাখতে চান, প্রথম দিন বলেছিলেন ‘কুইক টি-টোয়েন্টি ইনিংস’ খেলতে চান। এবার জানালেন, ট্রিপল সেঞ্চুরি করার কথা!
বুলবুল জানিয়েছেন, সবাই মিলে কিছু পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সেগুলোই বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে, ‘আজকেও আমরা এনএসসিতে ছিলাম, এই বিষয়ে কথা বলেছি। গতকালকে আমরা বোর্ড সভায় কিছু তালিকা তৈরি করেছি যে আমরা কী করতে চাই। সবাইকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তারা পরিকল্পনা নিয়ে আসবে।’
তিনটি কাজকে গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি, ‘এখানে আমরা তিনটি কাজ... আমরা বলছি যে ট্রিপল সেঞ্চুরি করবো। শতভাগ ট্রাস্ট, শতভাগ প্রোগ্রাম ও শতভাগ রিচ। বাংলাদেশে শতভাগ রিচ করবো, আমাদের ট্রাস্ট থাকবে, আমাদের প্রোগ্রাম থাকবে। এই ট্রিপল সেঞ্চুরিটা করার জন্য ক্রিকেট বোর্ড তিনটা প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছে। আমরা স্পিরিট অব ক্রিকেট আপগ্রেড করবো। দ্বিতীয়ত হচ্ছে, সবার জন্য হাই পারফরম্যান্স। শুধু ক্রিকেটার নয়, যারা কর্মকর্তা আছে, তাদের কাজও যেন হাই পারফর্মিং হয়। আর তিন নম্বর হচ্ছে, সারা দেশব্যাপী কানেক্ট করবো।’
সেটা কীভাবে তা জানিয়ে দিলেন বোর্ড প্রধান, ‘ক্রিকেট বোর্ড শুধু মিরপুরে বসে থাকবে না। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর আঞ্চলিক সংস্থার কাঠামো নিয়ে আমরা কথা বলেছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটা হয়নি। আমরা যেভাবে হোক, ব্যুরোক্রেটিক হয়ে হোক, এনএসসিও আমাদের সমর্থন দিচ্ছে। এর আগেও আমরা শুধুমাত্র ক্রিকেট নিয়ে দেশের সব জায়গায় আঞ্চলিক সংস্থার মতো করে ছড়িয়ে যাচ্ছি খুব শিগগিরই। আইসিসির কাছে এটা আমাদের একটা প্রতিশ্রুতি ছিল। এখন এটা আমাদের এক নম্বর প্রায়োরিটি। অবশ্যই ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্সও এর সঙ্গে আছে।’
বোর্ডে সাবেক ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা দিতে পেরেছে কি না এই প্রশ্নে বুলবুল বললেন, ‘নান্নু ভাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। আকরাম ভাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা অধিনায়ক। লিপু ভাই, হাবিবুল বাশার... তারা তো একেকজন কিংবদন্তি। তারা সবচেয়ে বড় অ্যাডভান্টেজ। তারা মাঠের চরিত্র, উইকেটের চরিত্র, ড্রেসিং রুমের চরিত্র- সব জানেন। এই ধরনের সাবজেক্ট ম্যাটার এক্সপার্টদের আমাদের অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে। তবে এটা ঠিক যে একজন খেলোয়াড় সরাসরি ভালো এডমিনিস্ট্রেটর হয় না বা ভালো কোচ হয় না। সেই ব্যবস্থাগুলো করবো।’
এরপরই একটা গোপন খবর জানিয়ে দিলেন দেশের অভিষেক টেস্টের সেঞ্চুরিয়ান, ‘সেই লক্ষ্যে আমি বলতে চাই, এখানে বলা উচিত কিনা জানি না। আমি বিসিবিতে জয়েন করার আগেই আমার সঙ্গে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ যোগাযোগ করেছে। তারা আন্তর্জাতিক কোচ হতে চায়। এই ট্রেনিং এডুকেশন প্রোগ্রামগুলো আমরা ক্রিকেট বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালনা করবো ইনশাআল্লাহ।’