বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিং আর ডসনের ঘূর্ণিতে উড়ে গেলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২০২২ সালের পর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে নেমে দারুণ বোলিং প্রদর্শনী করেছেন স্পিনিং অলরাউন্ডার লিয়াম ডসন। বল হাতে তার ৪ উইকেট শিকার এবং জস বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ভর করে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২১ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। এই জয়ে নতুন অধিনায়ক হ্যারি ব্রুকের অধীনে জয়ের ধারা অব্যাহত থাকলো ইংলিশদের। 

চেস্টার লি স্ট্রিটে শুরুতে টস জিতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৮৯ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড। তার পর বল হাতে লিয়াম ডসনই সেই রান ডিফেন্ড করতে দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। শুরুতে পাওয়ার প্লেতে যখন প্রথম উইকেটটি নেন, তখন ম্যাচটা ভারসাম্যতে ছিল। তার পর মাঝের দিকে তিন উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিংয়ে ধস নামাতে বড় অবদান রাখেন তিনি। তখন ২ উইকেটে ৯১ রান থেকে ১১৬ রানে ক্যারিবিয়ানদের পতন হয় ৬ উইকেটের। তার পর ধুঁকতেই থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ ১২ বলে প্রয়োজন ছিল ৪৮ রানের। তার পর ৯ উইকেটে ১৬৭ রানে থামে তারা। সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন ওপেনার এভিন লুইস। আন্দ্রে রাসেল ফিরলেও ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। 

লিয়াম ডসন ২০ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন। তাছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ম্যাথু পটস ও জ্যাকব বেথেল। একটি নিয়েছেন আদিল রশিদ। 

শুরুতে বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিং ইংল্যান্ডের ইনিংস গড়ে দিয়েছে। ৫৯ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছয়ের মারে ৯৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বেন ডাকেট শুরুতে মাত্র ১৬ রানে আউট হলে বাটলার, জেমি স্মিথ মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৭৯ রান! টি-টোয়েন্টি ওপেনার হিসেবে নেমে স্মিথ ২০ বলে খেলেছেন ৩৮ রানের ইনিংস। তার বিদায়ের পর বেথেলকে সঙ্গে নিয়ে বাটলার যোগ করেন আরও ৬০ রান। বেথেল ২৩ বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। শুরুটা দ্রুত গতিতে করলেও শেষটায় শ্লথ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের রানের চাকা। বাটলার ১৮.৪ ওভারে যখন ফেরেন, তখন তাদের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ১৭৬ রান। উইল জ্যাকসও দ্রুত (৯) আউট হলে ৬ উইকেটে ১৮৮ রানে থামে ইংল্যান্ড। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৩৩ রানে দুটি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড। একটি করে নেন আলজারি জোসেফ, আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেজ।