শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের নতুন চক্র শুরু হচ্ছে। আগের দুই চক্রে তারা হতাশাজনক পারফরম্যান্স করেছে। নতুন চক্রে নতুন শুরু, ভালো কিছু করার স্বপ্ন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর। যদিও এখনই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে খেলার মতো স্বপ্ন দেখছেন না তিনি।
ঐতিহাসিক লর্ডসে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছে অস্ট্রেলিয়া আর দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশ কবে খেলবে টেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল?
আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে শান্ত বলেছেন, ‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনেক বড় স্বপ্ন। এই মুহূর্তে সেটা দেখা বোকামি হবে। ছোট পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে চাই। চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে মাত্র এক ম্যাচ জিতেছিলাম। গত চক্রে আমরা চারটি ম্যাচ জিতেছি। আমাদের একটু উন্নতি হয়েছে। টার্গেট থাকবে যে আরও দুইটা তিনটা ম্যাচ বেশি জিততে যেন পারি। আমরা যদি এভাবে ছোট ছোট চিন্তা করে আগাতে পারি, কেন না? বাংলাদেশ দলও একদিন ফাইনাল খেলবে। কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলো, আমরা সামনের দুই বছরে মধ্যে গত বছরের থেকে কতটা ভালো ফল করছি।’
এবার ঘরের মাঠে ব্যর্থ হতে চান না শান্ত, ‘আমার মনে হয় আমাদেরকে ঘরের মাঠে জিততে হবে। আমরা শেষ চক্রে ঘরের মাঠে খুবই বাজে ক্রিকেট খেলেছি। যদি ঘরের মাঠে জিততে পারতাম, তাহলে আমরা হয়তো আরও দুই-তিনটি ম্যাচে জয় পেতাম। চিন্তা তো ওখানেই যে ঘরের মাঠে আমরা কীভাবে টেস্ট জিততে পারি। যখন ম্যাচ হবে, তখন নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে খেলতে হবে। বাইরে ভালো হয়েছে, এই আত্মবিশ্বাসটা আমাদের কাজে দেবে। আমরা যদি এই বছর বাইরে ভালো কিছু করতে পারি তাহলে দেখা যাবে আমাদের এই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চক্রে আরও ভালো ফল হবে।’
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই। ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট হেরেছে বাংলাদেশ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, আরব আমিরাত সফর, পাকিস্তান সফর কোথাও ভালো করতে পারেনি দল। শান্ত স্বীকার করে নিলেন নিজেদের বর্তমান দুর্দশা। যদিও তিনি আত্মবিশ্বাসী দল দ্রুতই ঘুরে দাঁড়াবে, ‘শেষ কিছুদিন ধরে আমরা ভালো ক্রিকেট খেলছি না। এটা মানতেই হবে। আমি বিশ্বাস করি, এই টিমটা ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারে। ড্রেসিংরুমে ইনটেনসিটি দেখে ভালো লাগছে, সবাই মুখিয়ে আছে সেরাটা দিতে।’
অধিনায়ক হিসেবেও সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছেন শান্ত। তবুও লঙ্কা সিরিজের আগে তার কাঁধেই নেতৃত্ব দেওয়া হয়েছে। এক বছর সময় পেয়ে দলকে বদলে দেওয়ার প্রত্যয় অধিনায়কের কণ্ঠে, ‘প্রত্যেকটা অধিনায়ককে লম্বা সময় দেওয়া উচিৎ। আমাকে আগে একটা লম্বা সময় দেওয়া হয়েছিল। এভাবেই কোনও একটা টুর্নামেন্টকে লক্ষ্য করে যদি দায়িত্ব দেওয়া হয়, তাহলে অধিনায়কের পক্ষে পরিকল্পনা সাজাতে সুবিধা হয়। আমাকে টেস্টে আগামী এক বছর সময় দেওয়া হয়েছে। বোর্ডের সঙ্গে সেটাই কথা হয়েছে। আমি আশা করি এটা যথেষ্ট।’