‘ক্যাচ মিস তো ম্যাচ মিস’- ক্রিকেটে চর্চিত এই ‘প্রবাদ বাক্য’ দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য বাস্তব হয় কি না, সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা। আপাতদৃষ্টিতে তাদের সামনে এক কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪ রানে জীবন পাওয়া মিচেল স্টার্কের ফিফটিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল অনেকটাই অস্ট্রেলিয়ার নিয়ন্ত্রণে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২৮২ রানের লক্ষ্য দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের এখনও বাকি ৮ সেশন। লক্ষ্যটাও খুব বড় নয়। কিন্তু কন্ডিশন বেশ চ্যালেঞ্জিং। তাছাড়া শেষবার প্রোটিয়ারা ২৫০-এর বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সফল হয়েছিল ২০০৮ সালে। ওয়াকায় ওইবার ৪১৪ রানের লক্ষ্যে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল তারা। প্রথম ৭ সেশনে বোলারদের তাণ্ডবের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে।
শুক্রবার লর্ডসে তৃতীয় দিনের খেলায় ৮ উইকেটে ১৪৪ রান থেকে শুরু করে অজিরা। দিনের তৃতীয় ওভারে নাথান লায়নকে ২ রানে থামান কাগিসো রাবাদা। ১ রানে খেলতে নেমেছিলেন ১০ নম্বর ব্যাটার।
এরপর রাবাদা-লুঙ্গি এনগিডির সামনে প্রতিরোধ গড়েন স্টার্ক, সঙ্গী ছিলেন জশ হ্যাজেলউড। ১৩১ বলে চারটি চারে ফিফটি করেন স্টার্ক। ২০১৯ সালের পর প্রথম অর্ধশতক তার। দশম উইকেটে এই জুটি ১২৭ বলে ৫০ রান যোগ করেন।
এইডেন মারক্রামের বলে ৫৯ রানের জুটি ভেঙে যায়। ৫৩ বলে ২ চারে ১৭ রানে কেশভ মহারাজের সহজ ক্যাচ হন হ্যাজেলউড। ১৩৬ বলে ইনিংস সেরা ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন স্টার্ক।
২০৭ রানে অস্ট্রেলিয়া অলআউট হতেই লাঞ্চের বিরতি শুরু হয়। প্রথম ইনিংসে তারা করেছিল ২১২ রান। জবাবে ১৩৮ রানে শেষ হয় দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস। ৭৪ রানের লিড নিয়ে অজিরা খেলতে নেমে সেটা বাড়িয়ে নেয় ২৮১ রানে।
রাবাদা ৪ উইকেট নিয়েছেন দ্বিতীয় ইনিংসে। ম্যাচে তার উইকেট ৯টি। এছাড়া এনগিডি পান তিন উইকেট।