মারক্রামের সেঞ্চুরি, বাভুমার ফিফটিতে ট্রফিতে এক হাত দক্ষিণ আফ্রিকার

মিচেল স্টার্ক দ্বিতীয় ইনিংসে হাফ সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়াকে ২৮১ রানের লিড এনে দেন। তারপর দুটি উইকেট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে অস্বস্তিতে ফেলে দেন। কিন্তু এইডেন মারক্রাম ও টেম্বা বাভুমার পাল্টা জবাবে ম্যাচ অস্ট্রেলিয়ার হাতছাড়া হতে বসেছে। জয়ের স্বপ্ন বুকে নিয়ে ফাইনালের তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।

মারক্রাম শেষ বিকালে ১৫৬ বলে সেঞ্চুরি করেছেন। ৮ চারে সাজানো তার ১১তম শতক, চতুর্থ ইনিংসে তৃতীয়বার দুই অঙ্কের ঘরে। ইনজুরিতে খানিকটা অস্বস্তি নিয়ে দারুণ ব্যাটিংয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাভুমা। দুজনের শক্ত জুটিতে দিন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ২ উইকেটে ২১৩ রান। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিততে আর ৬৯ রান দরকার তাদের।

১০২ রানে মারক্রাম ও ৬৫ রানে বাভুমা অপরাজিত আছেন। ২৩২ বলে তারা ১৪৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নতুন দিন শুরু করবেন তারা।

২৮২ রানের লক্ষ্যে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় ওভারে রায়ান রিকেলটনকে হারায়। স্টার্কের বল নিচু হয়ে তার ব্যাটের কানায় হালকা স্পর্শ করে ক্যারির গ্লাভসে জমা পড়ে। তৃতীয় আম্পায়ারের মাধ্যমে আউটের রায় আসে।

পরে উইয়ান মুল্ডারকে ফেরান স্টার্ক। ১৮তম ওভারে কাভারে মার্নাস লাবুশেনকে সহজ ক্যাচ তুলে দেন প্রোটিয়া ব্যাটার। ২৭ রানের তার বিদায়ে ভাঙে ৬১ রানের জুটি।

৭০ রানে ২ উইকেট পড়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকা ঘুরে দাঁড়ায়। যদিও ভাগ্যের ছোঁয়া ছিল। ২ রানে প্রথম স্লিপে স্টিভ স্মিথের হাত ফসকে জীবন পান বাভুমা। বলের আঘাতে ডানহাতের কনিষ্ঠার হাড় সরে গেলে ব্যথায় মাটিতে লুটে পড়েন স্মিথ। নিজে থেকেই মাঠ ছাড়েন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজও বোধহয় শেষ হয়ে গেলো তার।

বাকি সময়ে চলেছে বাভুমা ও মারক্রামের দাপট। অজি বোলারদের ঘাম ছুটিয়ে লক্ষ্যটাকে নাগালের মধ্যে নিয়ে এসেছেন তারা।

এর আগে অস্ট্রেলিয়া স্টার্কের ১১তম ফিফটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে ২০৭ রানে থামে। তাতে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রানের। প্রথম ইনিংসে ২১২ রান করে তারা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৩৮ রানে অল আউট করে। দুই দিনে পড়েছিল ১৪ উইকেট। তৃতীয় দিনে বদলে গেলো পিচের চরিত্র। এদিন মাত্র চার উইকেট পড়েছে, আর ম্যাচ এখন প্রোটিয়াদের নিয়ন্ত্রণে।