তবুও বিজয়ের ওপর আস্থা রাখতে চান শান্ত

বাংলাদেশের ওপেনিং সমস্যা দীর্ঘদিনের। সাদমান ইসলাম-মাহমুদুল হাসান জয় লম্বা সময় ধরে খেলেও এর সমাধান করতে পারেননি। সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারের পর চট্টগ্রামে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয় ঘরোয়া ক্রিকেট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত খেলা এনামুল হক বিজয়কে। কিন্তু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রত্যবর্তন ম্যাচে ব্যর্থ হন তিনি। তবুও শ্রীলঙ্কা সিরিজের টেস্ট দলের সঙ্গী হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই একই করুণ অবস্থা। দুই ইনিংসে তার রান ০, ৪। যদিও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বিজয়ের ওপর আস্থা রাখছেন।

ওয়ানডে ফরম্যাটের ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা ব্যাটারকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল টেস্টে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া মোটেও সুখকর নয়। জিম্বাবুয়ে সিরিজে প্রধান কোচ ফিল সিমন্স বলেছিলেন, ‘এটা আদর্শ পদ্ধতি নয়। কিন্তু যেভাবে টুর্নামেন্টগুলো সাজানো বাংলাদেশে, আপনার চার দিনের টুর্নামেন্ট বছরের শেষের দিকে। এখন ডিপিএলের সময়, এখানে আমাদের পছন্দের কোনও সুযোগ নেই। আমরা জানি, উদ্বোধনী জুটি বেশ অনেকটা সময় ধরেই আমাদের জন্য সমস্যার কারণ।’

যদিও টেস্টের জন্য প্রস্তুত করতে বিজয়কে ‘এ’ দলের হয়ে চারদিনের ম্যাচ খেলানো হয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচেও ভালো করতে পারেননি তিনি। চার ইনিংসের মধ্যে সর্বোচ্চ রান ৪৮। তবুও লম্বা সময় পর টেস্ট স্কোয়াডে ফেরা বিজয় লঙ্কানদের বিপক্ষে সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি। 

তবে তার ওপর আস্থা রাখছেন শান্ত, ‘সে (বিজয়) অনেক দিন পর দলে এসেছে, দুটো টেস্ট খেললো টানা। আমার মনে হয়, তাকে আরেকটু সময় দেওয়া হলে এবং সবাই যদি তার ওপর আস্থা রাখে, তাহলে সে ভালো করবে। আমার তার ওপর সেই বিশ্বাসটা আছে এবং আমি মনে করি, সে ভালো কিছুই করবে। আমি তার শেষ ৩-৪টা ইনিংস নিয়ে একদমই চিন্তিত না।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যর্থ হওয়ার পর বিজয়কে নিয়ে বিস্তর সমালোচনা হচ্ছে। এই সমালোচনা নিয়ে শান্ত বলেছেন, ‘খেলোয়াড়দের জন্য এই বিষয়টা নিয়ন্ত্রণ করা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি যারা কনটেন্ট তৈরি করে, সেই জায়গাটাতেও একটু শুদ্ধতা দরকার। আমি কী বলছি, সেটা যদি সম্মানের সঙ্গে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়, তাহলে ভালো। আমি বলছি না সমালোচনা হবে না, হবে। তবে সেটা যদি সম্মানের সঙ্গে হয়, তাহলে সেটা গঠনমূলক হয়ে ওঠে।’